এই মুহূর্তে

রাজ্যের সঙ্গে সঙ্ঘাত বাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল, নেপথ্যে উপাচার্য নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ নতুন করে বাড়তে চলেছে। কেননা রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে, শিক্ষা দফতরকে(Education Department) না জানিয়ে আচার্য(Chancellor) হিসাবে উপচার্যদের(Vice Chancellor) নিয়োগের পথে হাঁটা দিতে চলেছেন রাজ্যপাল(Governor) সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যপাল রাজ্যের ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও সরকারি ভাবে এই মর্মে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি। তাই জানা যাচ্ছে না কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে ঠিক কাকে কাকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করতে চলেছেন। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার রাজ্যপাল কলকাতার রাজভবনে ১০টি বিধ্ববিদ্যালয়ের যে ১০জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁদেরকেই উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত করতে চলেছেন তিনি। তবে তা স্থায়ী হিসাবে নয়, এরা অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে কাজ করবেন।

আরও পড়ুন সব প্রকল্প এক Portal-এ, নাম Social Registry System

৩ মাসের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরঞ্জন দাসের, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ছেত্রীর, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই অবস্থায় রাজ্যপাল চাইছিলেন না বিদায়ী উপাচার্যদের মেয়াদবৃদ্ধি করা হোক। পরিবর্তি তিনি চাইছিলেন অধ্যাপকদেরই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হোক। যদিও রাজ্যের তাতে সায় নেই। এখন বাংলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে প্রথা প্রচলিত রয়েছে উপাচার্য হিসাবে তা হল – বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি নিয়ে গড়া সার্চ বা সন্ধান কমিটি কয়েকটি নামের তালিকা দেবে এবং আচার্যের অনুমোদনক্রমে সেই তালিকা থেকে বেছে নেওয়া হবে উপাচার্য। কিন্তু এই রীতিতে সম্ভবত পরিবর্তন চাইছেন রাজ্যপাল। অনেকেই মনে করছেন যে আদতে রাজ্যপালকে ঘুঁটি করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছে।

আরও পড়ুন দিল্লি-কলকাতায় বসে না থেকে সময় দিন নিজ কেন্দ্রে, নির্দেশ বিজেপিতে

এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যপালের তালিকায় কারা কারা আছেন যারা অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হচ্ছেন? এই তালিকায় আছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যের ডিন অমলেন্দু ভুঁইয়া, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনান্যরা। প্রত্যেককেইন নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবেই নিয়োগ করা হচ্ছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর। তবে এই ঘটনার জেরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে, কোনও রকমের আলোচনা না করে যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে তা অবৈধ ও বেআইনি। রাজ্য সরকার আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে। এই নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না। যাদের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের সবিনয়ে রাজ্যের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে তাঁরা যেন এই নিয়োগ প্রত্যাখান করেন। যে ১০টি বিশিবিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে সেগুলি হল – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দাঁড়ভিটা কাণ্ডে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার

দোলের পরেই পারা চড়বে তরতরিয়ে, ৩৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রকেই ‘আর্থিকভাবে স্পর্শকাতর’ ঘোষণা কমিশনের

দেবাংশু ভোটে জিতলেই বিনামূল্যে ‘ফিস ফ্রাই’ বিতরণ

বালুরঘাটে সরকারি হাসপাতালের ভেতর চলছে বিউটি পার্লার !

জল্পেশ মেলায় বেড়াতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না পানবাড়ির ধনঞ্জয়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর