এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগ ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব

নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্র ও রাক্যের মধ্যে হাজির হল নয়া বিবাদ। এবারের বিবাদের নেপথ্যে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এখন রাজ্যের ৬-৭টি জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি Worker এবং Helper পদে কয়েক হাজার নিয়োগ(Recruitment) প্রক্রিয়া চলছে। উভয় ক্ষেত্রেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫ বছর ধরেই চলছে প্রক্রিয়া। কিন্তু তা নিয়েই বেঁধেছে বিবাদ। কেন্দ্রের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাওয়ার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করে দেওয়া হয়েছে, তাই রাজ্যকেও তা মানতে হবে। যদিও রাজ্যের দাবি, ৪৫ ধরেই এগোনো হবে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকার এদের বেতন দেবে। কেন্দ্রের নিয়ম মানতে গেলে রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার তৈরি হবে। তাই ৪৫ বছর বয়স ধরেই নিয়োগ চলবে। তবে এক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের দাবি না মানলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য দিল্লি থেকে যে টাকা আসে তা বন্ধ করে দিতে পারে মোদি সরকার(Modi Government)। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নবান্নের আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন ব্যবসা করতে চান, টাকা নেই, চিন্তা নেই, টাকা দিচ্ছে রাজ্য

রাজ্যে এখন ১ লক্ষ ১৮ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি বা ICDS Center রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে Worker ও Helper পদে যদি ২জন করে নিয়োগ পায় তাহলে রাজ্যের বুকে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষ কাজ পেয়ে যাবেন। এই বিপুল পরিমাণ নিয়োগ এক ধাপে করা হচ্ছে না। ৬-৭টি জেলা ধরে ধরে নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়োগ হওয়া পদের জন্যই কেন্দ্রের বরাদ্দ আসার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের শর্তও মানতে হবে। প্রথম শর্ত অবশ্যই বয়স যা ৩৫’র বেশি হবে না এবং দ্বিতীয় শর্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা যা দুটি পদের ক্ষেত্রেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কাছেও এই মর্মে আগেই চিঠি পাঠিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের স্বার্থেই এতদিন নিয়মটি কার্যকর করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু এখন কেন্দ্র থেকে রাজ্যকে চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রের শর্ত মেনেই নিয়োগ করতে হবে, নাহলে এদের বেতনের কোনও দায়িত্ব কেন্দ্র সরকার নেবে না, সেক্ষেত্রে টাকাও বরাদ্দ হবে না।

আরও পড়ুন খাদিকুলের ‘বাঘ’ ভানু পড়লেন ধরা, তবুও আনা যাবে না রাজ্যে

রাজ্যের আপত্তি কোথায়চ কেন্দ্রের শর্ত নিয়ে? নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে Helper পদে যারা নিয়োগ পান তাঁরা মূলত রান্না করা, খাবার পরিবেশন এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন। এই পদে তাই নিয়োগ পেতে হলে যে আবেদন করতে হত সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে অষ্টম শ্রেনী পাশ করলেই হয়ে যেত। এখন তা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে দেওয়া হয়েছে। আবার Worker পদে যারা নিয়োগ হতেন তাঁরা মূলত শিক্ষা ও পুষ্টি সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি দেখতেন। আগে মাধ্যমিক পাশ করলেই এই পদের জন্য আবেদন করা যেত। কেন্দ্রের নয়া নিয়মে সেটাও অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। রাজ্য সরকার চাইছে এই দুই পদেই রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের নিয়োগ পাক। কিন্তু কেন্দ্রের শর্ত মানতে গেলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ লোকই পাওয়া যাবে না। প্রান্তিক শ্রেনীর মানুষজন কাজও পাবে না। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে জনবিরোধী বলেই চিহ্নিত করে তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে খুব শীঘ্রই চিঠি পাঠাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এই বিষয়ে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে প্রান্তিক মানুষ বঞ্চিত হবেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান, বেটে মুখে মাখেন, নদিয়ার শেখর সিকদারের কীর্তিতে হতবাক সকলে

এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান?

সন্দেশখালিতে এনএসজিকে ডেকে রোবট এনে হাত বোমা উদ্ধার করল সিবিআই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর