এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ প্রতিবন্ধী বঞ্চিত বাঙালি জওয়ান

নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু বিতর্কের মধ্যেও দেশে এখন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীতে জওয়ান নিয়োগ করা হচ্ছে ‘অগ্নিপথ’(Agnipath) প্রকল্পের মাধ্যমে। তারই মাঝে এবার দেশের কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নানা সুযোগ-সুবিধা ও প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়ে। আর সেই জওয়ান এই বাংলার ছেলে। নদিয়া(Nadia) জেলার নবদ্বীপ(Nabadwip) পুরসভা এলাকার বাসিন্দা তিনি। নাম নিগমপ্রিয় চক্রবর্তী(Nigampriya Chakrabarty)। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স(CRPF) বা সিআরপিএফের ১৬১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান ছিলেন নিগমপ্রিয়। ২০১৬ সালের ২৫ জুন কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পাম্পোরে জঙ্গি হানার মুখে পড়ে তাঁদের কনভয়। সেই হামলাতেই গুরুতর জখম হন নিগমপ্রিয়। তারপর থেকেই আজও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না নিগমপ্রিয়, কেননা মেরুদণ্ডে বিঁধে কালাশনিকভের বুলেট। সেইদিন জঙ্গি হানার মধ্যেই মেরুদণ্ডে বুলেটবিদ্ধ অবস্থাতেও তিনি নিকেশ করেন দুইজন জঙ্গিকে। কিন্তু এই সাহসিকতার পরেও মেলেনি প্রাপ্য সম্মান, অধরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

২০১৬ সালের ২৫ জুন পুলওয়ামা জেলার লেথপোরা ক্যাম্প থেকে অনুশীলন সেরে শ্রীনগরে ফিরছিল সিআরপিএফের ১৬১ নম্বর ব্যাটালিয়ন। সেদিন ওই ব্যাটালিয়নের সঙ্গেই ছিলেন নিগমপ্রিয়। কনভয়ে ছিল ৪টি গাড়ি ও ১টি বাস। সেই বাসের দরজার পাশে ডানদিকে সিটে বসে ছিলেন নিগমপ্রিয়। পাম্পোরে পৌঁছতেই হামলার মুখে পড়ে কনভয়। শুরু হয় জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টি। সেদিনের ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৮ জওয়ান। জখম হন ১৮ জন। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ছিলেন নিগমপ্রিয় নিজে। একটি গুলি বাঁ হাতের কব্জি ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। একটি বুকের বাম দিক দিয়ে ঢুকে পাঁজরার হাড়ে ধাক্কা দিয়ে ফুসফুস ছুঁয়ে নাভির কাছে পৌঁছে যায়। আর পিছন দিক দিয়ে আসা আরেকটা বুলেট গেঁথে যায় মেরুদণ্ডে। ওই অবস্থাতেও লড়াই ছাড়েননি তিনি। নিকেশ করেন ২জন হিজবুল জঙ্গিকে। তাঁর ওই কাজের জন্যই সেদিন আরও বেশ কিছু জওয়ানের জীবন বেঁচে গিয়েছিল। নিগমপ্রিয়কে সুস্থ করে তোলার জন্য ১১টি অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতে তাঁর জীবন বাঁচলেও সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারান তিনি।

এখন নিগমপ্রিয়’র অভিযোগ, তাঁকে নিয়মমাফিক ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’র সুযোগ দেওয়া হয়নি। কোনও সম্মান তো জোটেইনি, মেলেনি কোনও আর্থিক সাহায্যও। এখন তাঁর মাইনে বলতে শুধু মাত্র বেসিক পে। নবদ্বীপ থেকে দিল্লির এইমসে গিয়ে তিনি চিকিৎসা করান নিজের খরচে। নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল তাঁকে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ঘোষণা করলেও তা মানতে নারাজ সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ। তাই শেষপর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন নিগমপ্রিয়। তাঁর দায়ের করা মামলার শুনানি হয়, বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলার শুনানিতে বিচারপতি নিগমপ্রিয়র আইনজীবী সুদীপ্ত পান্ডার কাছ থেকে সব ঘটনা শুনে নির্দেশ দেন যে, সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নিগমপ্রিয়’র শারীরিক পরিস্থিতি যাচাই করবে। অক্ষমতার হার নির্ধারণ করে তাঁকে দিতে হবে তাঁর প্রাপ্য যাবতীয় সুযোগ সুবিধা। নতুন করে কোর্ট অব এনকোয়ারিতে বসার সুযোগও দিতে হবে নিগমপ্রিয়কে। আর যতদিন না শারীরিক অক্ষমতার হার নির্ধারণ হচ্ছে, ততদিন তাঁকে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাতায়াত খরচ সহ যাবতীয় প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই প্রশ্ন উঠছে, নিগমপ্রিয়’র মতো অবস্থা যদি অগ্নিবীরদের(Agniveer) কারোর হয় তখন কী হবে। নিগমপ্রিয় তবু তো বেসিক পে পাচ্ছে। অগ্নিবীররা তো সেটাও পাবে না। ভবিষ্যৎ কী তাঁদের!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

২ বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে উল্টে গেল টোটো, নিহত ৩ যুবক, আহত ২ যাত্রী

ভোটের আগেই ভিন্ন চিত্র , বিজেপি কর্মীর বাড়িতে  মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তৃণমূল বিধায়ক

উজ্জলা যোজনা প্রকল্পের গ্রাহকদের ঘিরে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্বই

 বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, নির্বাচনের আগে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ  

চাকরি খোয়ানো ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি নোটিস যাবে

টাকা-পয়সা নিয়ে বিবাদ, ভাইয়ের হাতে খুন দাদা,গ্রেফতার অভিযুক্ত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর