এই মুহূর্তে

ঝালদা কাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীর আত্মহত্যার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত বুধবার সকালে। মৃতের নাম সেফাল বৈষ্ণব (৪০+)। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সুইসাইড নোট (Suicide Note)। পরিবারের অভিযোগের তির ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরের দিন মৃতের দাদা ঝালদা থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। এই মামলায় ঝালদা কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর আত্মহত্যার তদন্তভার হাতে নিল সিবিআই। নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

পুলিশের বিরুদ্ধে নিরঞ্জনের পরিবারের অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে দিনের পর দিন নিরঞ্জনের ওপর আসলে অত্যাচার করা হয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ও সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে বয়ান। মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ৬ এপ্রিল আত্মহত্যার দিন সকাল থেকে আত্মহত্যাকারীর মোবাইল ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। সেই কথাও লেখা রয়েছে অভিযোগপত্রে। ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে নিরঞ্জনের পরিবার। উল্লেখ্য, সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার দিনই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলেছিলেন, নিরঞ্জন ছিলেন তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। তপনের মৃত্যুর পরেও তাঁর বাড়িতে যাতায়াত ছিল নিরঞ্জনের। এমনকি আত্মহত্যা করার আগেরদিনও এসেছিলেন নিরঞ্জন,বলে দাবি করেন পূর্ণিমা। তপনের স্ত্রীর দাবি, নিশ্চয়ই পুলিশ চাপ দিচ্ছিল নিরঞ্জনকে। তা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন নিরঞ্জন। পূর্ণিমা এই ঘটনাতেও দাবি জানিয়েছে সিবিআই তদন্তের। প্রসঙ্গত, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছিলেন, মৃত্যুর খবর অত্যন্ত শোকের কিন্তু যে কোনও তদন্তেই জেরা করতে হয়। এটা পুলিশের কাজ। তিনি এও বলেন, পুলিশ কখনও প্রভাবিত করেনি নিরঞ্জনকে।

কলকাতা হাই কোর্টের ( High Court) নির্দেশে ঝালদা কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই (CBI)। এবার তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের আত্মহত্যার তদন্তভারও হাতে নিল সিবিআই। দুটি ঘটনাই একে অপরের সঙ্গে জড়িত বলে নিরঞ্জনের আত্মহত্যার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। এদিন আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, ফরেন্সিক আধিকারিকদের বলা হলেও সেই প্রতিনিধি দল এখনও আসেননি। প্রসঙ্গত, এদিন ঝালদার কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, পুরানো ঝালদা থানায় আগুন লাগার ঘটনারও তদন্তভার যাতে সিবিআই হাতে নেয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

নির্বাচন কমিশনকে ‘মেসো’ বলে কটাক্ষ দিলীপের

দইয়ের পর এবার হুগলীর ঘুগনিতে মুগ্ধ রচনা, খেলেন আবার খাওয়ালেনও

‘ভগবানের’ প্রার্থীপদ খারিজের দাবি তৃণমূলের, নেপথ্যে মৃত্যু কামনা

ভাটপাড়া থেকে নিখোঁজ ছাত্রীকে বিধাননগর স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

হরিশচন্দ্রপুরের জমির সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতী হামলা ,এলাকায় উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর