নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বুধবার সকালে। মৃতের নাম সেফাল বৈষ্ণব (৪০+)। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সুইসাইড নোট (Suicide Note)। পরিবারের অভিযোগের তির ছিল পুলিশেরবিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরের দিন মৃতের দাদা ঝালদা থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে নিরঞ্জনের পরিবারের অভিযোগ, কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে দিনের পর দিন নিরঞ্জনের ওপর আসলে অত্যাচার করা হয়েছে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে বয়ান। মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল থেকে আত্মহত্যাকারীর মোবাইল ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে নিরঞ্জনের পরিবার ও পূর্ণিমা কান্দু। প্রসঙ্গত, খুন হওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, নিরঞ্জন ছিলেন তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। তপনের মৃত্যুর পরেও তাঁর বাড়িতে যাতায়াত ছিল নিরঞ্জনের। এমনকি আত্মহত্যা করার আগেরদিনও এসেছিলেন নিরঞ্জন,বলে দাবি করেন পূর্ণিমা। তপনের স্ত্রীর দাবি, নিশ্চয়ই পুলিশ চাপ দিচ্ছিল নিরঞ্জনকে। তা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন নিরঞ্জন। পূর্ণিমা এই ঘটনাতেও দাবি জানিয়েছে সিবিআই তদন্তের। প্রসঙ্গত, তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বুধবার বলেছিলেন, মৃত্যুর খবর অত্যন্ত শোকের কিন্তু যে কোনও তদন্তেই জেরা করতে হয়। এটা পুলিশের কাজ। তিনি এও বলেন, পুলিশ কখনও প্রভাবিত করেনি নিরঞ্জনকে।
কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঝালদা কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই (CBI)। এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য। সূত্রের খবর, রাজ্যকে পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে আদালত। এই প্রসঙ্গে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-কে বাধা দেয়নি রাজ্য তবে তপন কান্দু খুনের ঘটনায় কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? আরও বলেন, তবে কি তাঁর স্বামী কংগ্রেস করতেন বলেই রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত?
এদিন নিহত তপন কান্দুর বাড়িতে গিয়ে মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই।