এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘মানুষ আছে দিদির পাশে’, ভোট দিয়ে বেরিয়েই জানালেন নির্মল

Courtesy - Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি: একসময়কার বাম দুর্গ। ১৯৮০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র ছিল বামেদের দখলে। কিন্তু তারপর সেখানে জেতে তৃণমূল(TMC)। ৫ বছর বাদে ২০১৯ সালে সেই কেন্দ্র আবার তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি(BJP)। এবার গেরুয়া ব্রিগেডের কাছে সেই আসন ধরে রাখা রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা উনিশের ভোটে এই আসনের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই লিড তুলেছিল পদ্মশিবির। কিন্তু একুশের ভোটে সেই ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টিতেই জয়ী হয় তৃণমূল। পদ্ম শিবিরের উদ্বেগ আরও বাড়ে বিজেপির জয়ী হওয়া একটি আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হয়ে যাওয়ায়। এদিন সকাল থেকেই তাই বেশ কোনঠাসা অবস্থায় এই কেন্দ্রে লড়াই করতে নেমেছে পদ্মশিবির। তুলনায় অনেকটাই চাপমুক্ত হয়ে এলাকায় ঘুরছেন তৃণমূল প্রার্থী। শুধু তাই নয়, সস্ত্রীক ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েই দিলেন, ‘মানুষ আছে দিদির পাশে। তাই আমি জিতবই।’ বক্তার নাম নির্মলচন্দ্র রায়(Nirmal Chandra Roy)। নজরে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্র(Jalpaiguri Constituency)।   

জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে উনিশের ভোটে জিতেছিল বিজেপি। এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা মাল, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি ও মেখলিগঞ্জের মধ্যে শুধুমাত্র রাজগঞ্জে উনিশে ভোটে লিড পেয়েছিল তৃণমূল। বাকি ৬টি কেন্দ্র থেকেই লিড পায় বিজেপি। কিন্তু একুশের ভোটে সেই ছবিতে বদল আসে। রাজগঞ্জে নিজেদের লিড ধরে রেখে তৃণমূল তো জেতেই, সঙ্গে জলপাইগুড়ি, মাল ও মেখলিগঞ্জও জিতে নেয়। বাকি ধূপগুড়ি, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আর ময়নাগুড়িতে জেতে বিজেপি। কিন্তু গপ্পো সেখানেই থেমে যায়নি। সেই ভোটের দুই-আড়াই বছরের মাথায় ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে যায় তৃণমূল। একই সঙ্গে ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নেন। বিজেপি এই লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী করেছে উনিশের ভোটে জেতা জয়ন্ত কুমার রায়কেই(Jayanta Kumar Roy)। কিন্তু তাঁর প্রচারে সেভাবে মানুষের উৎসাহ, ভিড় কোনওটাই নজরে পড়েনি। এমনকি স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়িতে এসে সভা করে যাওয়ার পরেও সেই ছবিতে বদল আসেনি। ঠিক তার উল্টো ছবি জোড়াফুলে।

তৃণমূল ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল নির্মলচন্দ্র রায়কে। সেই নির্বাচনে তিনি জয়ীও হয়েছেন। এবার তাঁকেই জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এদিন সকালেই সস্ত্রীক ভোট দিয়ে তিনি বেড়িয়ে পড়েছেন ভোটের তদারকিতে। তবে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই তাঁকে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় ‘নিপাট ভদ্রলোক’ এই প্রার্থী এদিন সকালেই আবার সৌজন্য বিনিময় করতে ঢুকে পড়েন বিজেপির অফিসে। তার জেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান পদ্মকর্মীরা। যদিও পরে তাঁরা জানান, তাঁরা খুশিই হয়েছেন। কেননা তৃণমূলের প্রার্থী তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁদের নিজেদের দলের প্রার্থী তো সেটাও করেনি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম ২ ঘন্টায় ১৪.১৩ শতাংশ ও বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩১.৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। একই সঙ্গে এই কেন্দ্রে রাজগঞ্জ ব্যতীত সেভাবে কোথাও থেকে কোনও অশান্তির খবর আসেনি। আর তাই বেশ হাসি মুখেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্মলবাবু।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর