নিজস্ব প্রতিনিধি: নাম আড়াল করে রাজনৈতিক প্রচার(Political Campaign) বরদাস্ত করবে না নির্বাচন কমিশন(ECI)। লোকসভা ভোটের(Loksabha Election 2024) প্রচারে অনেক সময়ই কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির নাম ছাড়াই রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হোর্ডিং, পোস্টার, প্লাকার্ড নজরে এসেছে কমিশনের। তাই এবিষয়ে সতর্ক করে বাংলা(Bengal) সহ দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে(CEO) চিঠি দিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, হোর্ডিং থাকে পুরসভার অধীনে। তাই কোনও কিছু প্রচারের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানে পুরসভা। তাই এ ব্যাপারে পুরসভাকেও উদ্যোগ নিতে হবে। প্রকাশকের নাম ছাড়া কোনও প্রচার মোটেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের অঙ্গ নয়। জানা যাবে না এই প্রচার কোনও রাজনৈতিক দলের কি না। দলের প্রচার খরচও সেক্ষেত্রে আড়াল করা হচ্ছে। তাই প্রচার হোর্ডিংয়ে অবশ্যই প্রকাশকের নাম লিখতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার এখন জোরকদমে চলছে। গোটা দেশে এখন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার প্রায় এক মাস পর প্রচার করার বিষয়ে এবার নয়া নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। আর তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দিয়েছে, হোর্ডিং–পোস্টার–ব্যানার দিয়ে যে প্রচার করে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি সেখানে অবশ্যই মুদ্রক ও প্রকাশকের নাম উল্লেখ করতে হবে। সেটাও ওই ব্যানার, পোস্টার এবং হোর্ডিংয়ের সামনে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট শুরু হবে গোটা দেশে। তার আগে এমন নির্দেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর থাকার সময় মুদ্রক ও প্রকাশকের নাম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বেনামী পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং, ফেস্টুন দেখলেই পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।