নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে আসাম পর্যন্ত একটি মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। আর সেই অক্ষরেখার হাত ধরেই শুক্র, শনি ও রবিবার উত্তরবঙ্গের(North Bengal) বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে দিল দিল্লির মৌসুমি ভবন। তবে দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) জেলাগুলিতে এখনই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা থাকছে না। তবে সেখানে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি(Rain) চলবে। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে পারাও চড়বে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা(Kolkata) ও শহরতলি এলাকায়। কিন্তু তাতে গুমোট ভাব বিন্দুমাত্র কমেনি। বরঞ্চ তা বজায় রয়েছে পূর্ণদমে। আবহাওয়াবিদদের দাবি, বর্ষা(Monsoon) পুরোপুরি দক্ষিণবঙ্গের বুকে পা না রাখা পর্যন্ত এই গুমোট ভাব বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার স্বাভাবিক তারিখ ১০ জুন। যদিও মনে করা হচ্ছে এবারে কিছুটা হলেও এগিয়ে আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বুকে বর্ষার পা রাখার দিনক্ষণ। আপাতত সেই সময় পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গবাসীকে ভ্যাবসা গরম সহ্য করতে হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে শুক্রবার সকালে জানানো হয়েছে, আগামী চার-পাঁচদিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। সেই সঙ্গে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমই থাকছে। যদিও বা কোথাও তা হয় তাহলে তা হবে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। দুই দিনাজপুর ও মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় আজ আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। গতকাল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। শুক্র ভোরে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়েছে ০০০.৩ মিমি।