নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল রাজ্যের। এমনকি সেই নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) চিঠিও লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই দাবি অবশেষে মেনে নিল কেন্দ্র সরকার। আর সেই সিদ্ধান্তের জেরেই নতুন বিমানবন্দর(New Passenger Airport) পেতে চলেছে উত্তরবঙ্গ(North Bengal)। ২৪’র ভোটের আগে এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে উত্তরবঙ্গের বুকে গেরুয়া ভোট ব্যাঙ্ক-কে কিছুটা হলেও ফায়দা এনে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নজরে আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar) জেলায় থাকা হাসিমারা(Hasimara) বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর রয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অধীনে। সেখানে নিত্যদিন যুদ্ধবিমান ওঠানামার মহড়াও চলে। রাজ্য সরকার চাইছিল সেই বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান নামতে দেওয়া হোক। সেই নিয়ে অবশ্য আপত্তি ছিল বিমানবাহিনীর। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সুবাদেই বাগডোগরা ও কোচবিহারের পরে উত্তরবঙ্গ পেতে চলেছে তৃতীয় বিমানবন্দর যেখান থেকে যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করতে পারবে।
আরও পড়ুন জেনে নিন KMC’র নতুন Parking Fee’র রেট
ডুয়ার্সের সৌন্দর্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই সূত্রেই রাজ্য সরকার চাইছে ডুয়ার্সে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ানো যাতায়াতের সূত্র ধরে হাসিমারা বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর অনুমতি দিক কেন্দ্র সরকার। এই প্রস্তাবে আপত্তি ছিল না কেন্দ্রেরও। কিন্তু সমস্যা ছিল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। চিনের খুব কাছে ও ভারত-ভূটান সীমান্ত লাগোয়া এই বিমানবন্দরে রাখা থাকে দেশের প্রথম সারির যুদ্ধবিমান। নিয়মিত তাদের উড়ানের মহড়াও চলে। তাই এই বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীবাহী বিমান পরিষবা চালুর অনুমতি দিতে চায়নি দেশের বিমানবাহিনী। শেষে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তার জেরেই এবার এই বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে বিমানবাহিনী। তবে এই বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত কত যাত্রী পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। ভরা পর্যটনের মরশুমে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত হাসিমারা থেকে যাত্রী পাওয়া গেলেও বছরের বাকি সময়ে কতজন যাত্রী মিলবে তা নিয়ে বেশ সংশয়ী বেসরকারি যাত্রীবাহী বিমান সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন জুনেই Aadhar Biometric পদ্ধতিতে ধান কিনবে রাজ্য
তবে এই সংশয় কাটাতে ঠিক করা হয়েছে, যাত্রীদের মোট আসনের ২০ শতাংশের ভাড়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বহন করবে। তবে সেক্ষেত্রেই কিছু নিয়মও মানতে হবে বিমান সংস্থাগুলিকে। তারা কখনই ইচ্ছামতো ভাড়া হাঁকতে পারবে না। টেন্ডারের মাধ্যমে বাছাই করা সংস্থা বিমানের রুট এবং ভাড়া স্থির করবে। টেন্ডার পরবর্তী চুক্তি অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট হারে ভাড়া নিতে বাধ্য থাকবে বেসরকারি বিমান সংস্থা। হাসিমারা দিয়ে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা চালু হলে নিঃসন্দেহে সব থেকে লাভবান হবে ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প। কেননা এই বিমানবন্দরের ১৩ কিমি দূরেই রয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। দক্ষিণে ৫ কিলোমিটার গেলেই চিলাপাতা ফরেস্ট। ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে বক্সা ফরেস্ট। উত্তরে ভুটানের ফুন্টশোলিংয়ের দূরত্ব মাত্র ১৮.৫ কিমি।