নিজস্ব প্রতিনিধি: সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনের গোড়ার দিকেই চাষিদের(Farmers) কাছ থেকে সরকারি উদ্যোগে দ্বিতীয় পর্যায়ের ধান কেনার(Paddy Procurement) কাজ শুরু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। একই সঙ্গে এবারে ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে Aadhar Biometric পদ্ধতির ব্যবহার করা শুরু হচ্ছে। কার্যত রাজ্য সরকারের কাছে যে সব চাষী ধান বিক্রি করতে আসবেন তাঁদের Aadhar Biometric পদ্ধতিতে যাচাই করা হবে। এরজন্য আঙুলের ছাপ Scan করার যন্ত্র রাজ্যের প্রতিটি ধানক্রয় কেন্দ্রগুলিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। গত নভেম্বর থেকে চলতি খরিফ মরশুমের ধান কেনা শুরু হয়। গোটা মরশুমে ধানক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রথমে ছিল ৫৫ লক্ষ টন। পরে তা আরও ৫ লক্ষ টন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ মোট ৬০ টন ধান কেনার লক্ষ্য রয়েছে রাজ্যের। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪৯ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে বলে রাজ্যের খাদ্য দফতর(Food Department) সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন ‘No Vote To BJP’, প্রচারে নামছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপিরই নেতারা
রাজ্য সরকার চাষীদের কাছ থেকে যেমন সরাসরি ধান কেনে খাদ্য দফতরের নিজস্ব স্থায়ী কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে, তেমনি জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে, গ্রামে গ্রামে বহু অস্থায়ী শিবির খুলেও ধান কেনা হয়। একই সঙ্গে বেনফেড, ইসিএসসির মতো সরকারি সংস্থাগুলিও কৃষি সমবায় সংস্থার মাধ্যমে ধান কেনে। আর শিবির খুলে ধান কেনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। ধানক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত এই সব সংস্থাকে এবার রাজ্যের খাদ্য দফতর অনেক আগেই নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিল বাধ্যতামূলক ভাবে Aadhar Biometric পদ্ধতিতেই যেন কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়। আর তার জন্য তাঁরা যেন অত্যাবশক ভাবে Scanner রাখেন প্রটিটি ধান কেনার কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতে সরকারি প্রকল্পে নজরদারি কমিটি
তবে এটাও ঘটনা যে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে খোলাবাজারে ধানের দাম বেশ চড়া। মোটা ধানের দাম কুইন্টাল প্রতি দাম ২ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সরকার যে দামে ধান কেনে তার সঙ্গে পার্থক্য মাত্র ১০০ টাকার মতো। ফলে চাষিরা সরকারের কাছে ঠিক কতটা ধান বেচতে আগ্রহী হবেন, তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই যে পরিমাণ ধান সরকার সংগ্রহ করেছে, তা থেকে তৈরি চাল আগামী একবছর রাজ্যের রেশন, মিড ডে মিল প্রকল্প এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সরবরাহের পক্ষে পর্যাপ্ত বলেই মনে করছে খাদ্যদফতর। আবার পূর্ব নির্ধারিত ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হলে কৃষকদের কাছ থেকে আর সাড়ে ১০ লক্ষ টন ধান কিনলেই হয়ে যাবে। তাই রাজ্যের আধিকারিকেরাও এই বিষয়ে খুব একটা চিন্তিত নয়। তাঁরা বরঞ্চ জোর দিচ্ছেন যাতে সব কেন্দ্রে Aadhar Biometric পদ্ধতিতে ধান কেনা হয়।