এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘এখন নওশাদ বনাম আব্বাস হচ্ছে’, ISF’র প্রসঙ্গে কটাক্ষ কুণালের

Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুয়ারে যখন লোকসভা ভোট(General Election 2024) কড়া নাড়ছে তখন কী ISF’র অন্দরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল? প্রশ্নটা উঠে গিয়েছে, সমাজমাধ্যমে আব্বাস সিদ্দিকির(Abbas Siddiqui) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায়। সেই ভিডিওতে ফের ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ডায়মন্ডহারবারে(Daimond Harbour) আমরা যদি প্রার্থী দিই, তা হলে আপনারা জেতাবেন তো? আমায় দেখে ভোট দেবেন। জেতালে প্রতি মাসে আমি এখানে ডায়মন্ডহারবারে আসব। সমস্যা শুনব এবং এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করব।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে আব্বাসের ভাই এবং এই দলেরই একমাত্র বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকি(Nowshad Siddiqui) আগেই জানিয়েছেন, দল চাইলে তিনি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, নওশাদের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা সামনে আসার পরেও আব্বাস কেন অন্য প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছেন? তাহলে কী ISF’র অন্দরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে? দাদা আর ভাইয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে? এই অবস্থায় ISF’র প্রসঙ্গে কটাক্ষ হেনেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

কুণাল ঠিক কী বলেছেন? তিনি বলেছেন, ‘এটা এখন নওশাদ বনাম আব্বাস হচ্ছে। নওশাদ বলেছিলেন দাঁড়াবেন। এখন আব্বাস বলছেন, তাঁর প্রার্থীকে জেতাতে। আসলে কে বড় তার লড়াই চলছে। ক্ষমতা থাকলে আব্বাস নিজে ভোটে লড়ুক না দেখি! চার লক্ষ ভোটে হারাব।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কুণাল কেন ISF’র প্রসঙ্গে কটাক্ষ হানলেন? কটাক্ষ হানার অবশ্যই কারণ ডায়মন্ডহারবার। কেননা সেখানকার দুই দফার সাংসদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। কার্যত তাঁকে এবং তৃণমূলকে হারাবার অভিসন্ধি নিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যে একটি সার্বিক বিরোধী জোট গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন। সেই সূত্রেই তিনি প্রকাশ্যেই নওশদকে অভিষেকের বিরুদ্ধে ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন তৃণমূল পাল্টা আক্রমণ চালাবে নওশদ বা ISF-কে।  

যদিও এই প্রসঙ্গে অভিষেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, যে কেউ জোট করে হোক বা ঘোঁট করে হোক তাঁর বিরুদ্ধে ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থী হতেই পারে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘টাকা নিয়ে সেটিং, ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করা একজন জনপ্রতিনিধির কাজ নয়। তাঁদের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। জনপ্রতিনিধির কাজ দাঙ্গা লাগানো নয়, টাকা নিয়ে সেটিং করা নয়, জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে থাকা। যতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছে এখানে ধর্মের নামে বিভাজন হতে দেব না। শুনছি কেউ কেউ চাইছেন ডায়মন্ডহারবার থেকে দাঁড়াতে। সে দাঁড়াক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার সবার রয়েছে। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেও দাঁড়াতে পারে। এটা তো গণতন্ত্র। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মানুষ ভোটে তাঁদের ভোকাট্টা করে দেবে। আমি যতদিন আছি, এখানে কোনওদিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেব না। আমার জনসমর্থনের মূল ভিত্তি এখানকার উন্নয়ন।’ চলতি মাসের ১০ তারিখে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের ফরেপুর হাইস্কুলের মাঠে তৃণমূলের একটি বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অভিষেক নাম না করেই এভাবে নিশানা বানিয়েছিলেন নওশদকে। এদিন কুণাল কার্যত আরেকটু উস্কে দিলেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর