নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহের বুধ সন্ধ্যায় বীরভূম(Birbhum) ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া অজয় নদের চরে শেখ মতিন নামে এর প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নাকড়াকোন্দা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি বীরভূম জেলার খয়রাশোল(Khoyrashol) ব্লকের পশ্চিম বড়কলা গ্রামে। তাঁর পরিবারের দাবি, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছিল কাঁকরতলা থানার(Knakortala PS) পুলিশ। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করে ক্লোজ করা হয় কাঁকরতলা থানার ওসি শামিম খানকে(Shamim Khan)। তাঁর জায়গায় শুক্রবার সকাল থেকে কাঁকরতলা থানার নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্বে গ্রহণ করেছেন সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আচমকা কাঁকরতলা থানার ওসি শামিম খানকে কেন ক্লোজ করা হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের সই করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে ‘ইন্টারেস্ট অব পাবলিক সার্ভিসে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গোটাটাই রুটিন বদলি। এর সঙ্গে খুনের ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও প্রশ্ন উঠছে, রুটিন বদলি বলা হলেও ক্লোজ করা হল কেন? যদিও সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত মিলছে না। যে সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন কাঁকরতলা থানার নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্বে আনা হয়েছে তিনি এতদিন সিউড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। অর্থাৎ জেলার মধ্যেকার পুলিশ আধিকারিককেই জেলার মধ্যে থাকা একটি থানার দায়িত্বে আনা হয়েছে। এই ওসি বদলের ঘটনার কোনও প্রভাব শেখ মতিনের খুনের ঘটনার তদন্তে পড়বে কিনা তা অবশ্য পরিষ্কার নয়।