নিজস্ব প্রতিনিধি: সরস্বতী পূজোর পর হাতে খড়ি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পঠন-পাঠন শুরু করল খুদে পড়ুয়ারা। জলপাইগুড়ির বজরা পাড়ার সারদা বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে শুক্রবার তথা রামকৃষ্ণদেবের জন্মদিনে হাতে খড়ি হল ৩৫টি শিশুর। কার্যত এদিন থেকে তারা স্কুলে হাতে লিখে পড়াশুনার কাজ শুরু করল।
শুক্রবার সকাল থেকেই সারদা বিদ্যাপীঠে ছিল সাজো-সাজো রব। স্কুলের প্রথা মেনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও এক মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনো আরাম্ভ হল। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সকাল থেকেই স্কুলের চারপাশ বেশ জম-জমাট ছিল। খুদে পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্কুলে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের অভিভাবকেরাও। ছোটরা সকলে স্নান করে রঙিন জামাকাপড় পড়ে ফুল বেলপাতা নিয়ে স্কুলে উপস্থিত হয়েছিল।
এদিন স্কুলে প্রথমে সরস্বতী পূজো হয়। সেই সঙ্গে হয় হোম যজ্ঞ। এরপর সবাই পুষ্পাঞ্জলি দেয়। তারপর পুরোহিত মশাই প্রত্যেক শিশুকে কোলে বসিয়ে স্লেটে চক পেন্সিল দিয়ে অ, আ, ই,ঈ লিখিয়ে হাতে খড়ি দিয়ে দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ সাহা বলেন এটি একটি প্রাচীন সংস্কার। সারদা বিদ্যাপীঠের যতগুলো শাখা বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে সবার ক্ষেত্রেই এক নিয়ম প্রযোজ্য। গত দু’বছর করোনার বাড়বাড়ন্তর জন্য এই অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এই বছর থেকে ফের অনুষ্ঠান শুরু হল। এতদিন ক্ষুদেরা মুখে-মুখে পড়াশোনা করত। কিন্তু এবার থেকে তাঁরা হাতে লিখে জ্ঞান অর্জন করবে।
এক ক্ষুদে পড়ুয়া ঝর্না সেন বলে, ‘আজ রামকৃষ্ণদেবের জন্মদিন। আজ আমাদের হাতে খড়ি হল। আমরা পূজো করলাম। তারপর অ, আ,ই,ঈ লিখলাম’। পাশাপাশি, অনিন্দিতা সেন নামে এক অভিভাবিকা জানান, ‘এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হল। আমাদের সকলের খুবই ভালো লাগছে’। এদিন পূজোর শেষে চলে প্রসাদগ্রহণ পর্ব। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা সবাই মিলে স্কুল বারান্দায় বসে পেট পুড়ে খিচুড়ি, তরকারি, লুচি, পায়েস ইত্যাদি খাওয়া দাওয়ার করেন।