নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবল বৃষ্টির জেরে মণিপুরে ভয়াবহ ধসে (Manipur Landslide) ৭ সেনা জওয়ান-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জওয়ানদের মধ্যে রয়েছে বাংলার এক জওয়ানও। পাশাপাশি এই ঘটনার পর নিখোঁজ হয়েছেন বাংলার আরও এক জওয়ান।
বৃহস্পতিবারে ভোরে মণিপুরের নোনে জেলায় আচমকা ধসের জেরে রেলের একটি নির্মীয়মান প্রকল্পে প্রায় ৫০-এর বেশি মানুষ আটকে পড়েন। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার জওয়ান জওয়ান শংকর ছেত্রী। ৩০ বছর বয়সী ওই জওয়ান মালবাজারের নাগরাকাটার বাসিন্দা। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের ঘোড়ারাস গ্রামের বাসিন্দা আরেক জওয়ান। জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ওই জওয়ানের নাম মহিউদ্দিন আহমেদ। ৩২ বছর বয়স তাঁর।
মালবাজারের নাগরাকাটায় খাসবস্তিতে শংকর ছেত্রীর মৃত্যুর খবর পৌঁছতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ওই জওয়ানের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শংকর মণিপুরের নোনে জেলায় রেলের একটি নির্মীয়মান প্রকল্পে অন্যান্যদের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। আচমকা পাহাড় থেকে বিশাল ধস নামায়, সেই ধসে চাপা পড়ে যান। এর জেরে মরাত্মকভাবে জখম হন তিনি। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে শংকরের স্ত্রী পুনম জানান, ‘মাত্র মাস চারেক আগেই বদলি হয়ে মণিপুরের ডিউটিতে গিয়েছিলেন। ফোনে বার বার বলতেন দুঃশ্চিন্তা না করার জন্য। ঘটনার পর থেকেই শংকরের সাথে আর বাড়ির কেউ আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি। তারপরই আসে মৃত্যুসংবাদ।’
অন্যদিকে ধসের জেরে নিখোঁজ জওয়ান মহিউদ্দিন আহমেদ মণিপুর টুপুলে ১০৭ ইউনিট গোর্খা রাইফেলে কর্তব্যরত ছিলেন। ১১ মাস আগে ডিউটিতে যোগ দেন বাংলার এই যুবক। দুর্ঘটনার পর থেকেই তাঁরর সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি। নিখোঁজ এই জওয়ানকে নিয়ে তাই উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।