নিজস্ব প্রতিনিধি: বন্যাত্রাণের জন্য বরাদ্দ ৭৬ লক্ষ টাকা লুঠ করায় তিন পঞ্চায়েত স্তরের নেতাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বন্যাত্রাণের টাকা লুঠ করার অভিযোগে মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের অভিযুক্ত তিন নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। মালদহের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামনি সাহা, স্থানীয় নেতা-নেত্রী রোশনারা খাতুন ও আফসার আলির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ সহ একাধিক ধারায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট ওই তিন অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দেয়। পরে অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এবার শীর্ষ আদালতেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। ত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় তিন নেতা-নেত্রীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
২০১৭ সালে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। সেসময় বন্যাদুর্গতদের ত্রাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৬ লক্ষ টাকা। সেই টাকাই আত্মসাৎ করার অভিযোগে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল প্রশাসন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের মতো জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হতেই পঞ্চায়েত প্রধান সোনামনি সাহা ও বাকিরা গা ঢাকা দেন। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালালেও পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পায়নি। প্রধানের বাড়িতে আদালতের নির্দেশের কপি ঝুলিয়ে দিয়ে তাঁদের আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশে প্রধানের বাড়ি থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করা হয়। কিন্তু তাতেও পুলিশের কাছে ধরা দেননি অভিযুক্তরা। প্রথমে নিম্ন আদালত ও পরে কলকাতা হাই কোর্টেও তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এবার অভিযুক্ত তিন জনকেই দু সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলল দেশের শীর্ষ আদালত।