এই মুহূর্তে




ফাটল ধরা শুরু আন্দোলনে, সরছেন মানুষ, ক্ষোভ বাড়ছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান একদিনে হয়নি। তার সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। সেখানে একাধিক বিদেশী রাষ্ট্রের মদতও ছিল। সেই ষড়যন্ত্রে কার্যত ঘি ঢেলেছিল, ছাত্র সমাজের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা। আপার বাংলাতেও রাজ্য সরকার, রাজ্যের শাসক দল এবং সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বিরুদ্ধেও বড়সড় ষড়যন্ত্র বোনা হয়েছিল। সেখানে ঘৃতাহুতি দিয়েছে আর জি করের ঘটনা(R G Kar Incident)। সেই ঘটনাকে আঁকড়ে ধরেই শুরু বাম-বিজেপি-নকশাল-মাওবাদীদের আন্দোলন। সময় যত বেড়েছে সেই আন্দোলন(Protest Movement) ততই চওড়া হয়েছে। সরকার বিরোধী সুর ততই চড়েছে। খালি মুখ্যমন্ত্রী ঠাণ্ডা মাথায় সব কিছু মেপে গিয়েছেন। পুলিশ আক্রান্ত হলেও পাল্টা আক্রমণের পথে তিনি পুলিশকে হাঁটতে দেননি। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ক্ষোভ চড়ছে আমজনতার। ঘটছে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাও। আর তার জেরেই আন্দোলনের বিরুদ্ধে পাল্টা ক্ষোভ শুরু হতেই ফাটল ধরছে আন্দোলনে।

আরও পড়ুন, ‘পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন’, আন্দোলনকারীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতিদিন রাস্তাঘাটে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে যেভাবে রাস্তা দখল করে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ আমজনতা। কেননা রাস্তা দখলের জেরে ভোগান্তি তাঁদেরও পোহাতে হচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা আর জি করের নির্যাতিতাকে বিচার দেওয়ার নামে শুরু হওয়া আন্দোলনে এখন শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিই শোনা যাচ্ছে না, সেখানে ভারত বিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী শ্লোগানও উঠছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে যেভাবে ধর্ষণ খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটা দেখে ক্ষুব্ধ আমজনতা। ফলে যারা নির্যাতিতার সুবিচার চেয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তাঁরা এখন সেই সব ঘটনা দেখে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন ওই সব আন্দোলন থেকে। নিট রেজাল্ট আন্দোলনে ভিড় কমছে। এখন আমজনতা সাফ জানাচ্ছেন, ‘আন্দোলনের নামে এখন পুজোর আগে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে ফ্যাশন প্যারেড চলছে।’ সব থেকে বেশি ক্ষোভ ছড়িয়েছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে। যেভাবে কলকাতা হাইকোর্ট আর সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) অনুরোধ নির্দেশ উপেক্ষা করে তাঁরা কর্মবিরতি(Junior Doctors Strike) চালিয়ে যাচ্ছেন, তা আর ভাল ভাবে নিচ্ছেন না আমজনতা। তাই এতদিন যারা চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছেন, তাঁরাই এখন সরে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন, ‘আমরা প্রমাণ লোপাট করতে যাব কেন? কাকে বাঁচানোর জন্য?’, প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এরা এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, ‘আমরা নির্যাতিতার বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু বিনা চিকিৎসায় মানুষের মৃত্যু মিছিল চাইনি।’ আন্দোলনকারীদেরও একটা বড় অংশই মেনে নিচ্ছেন, মানুষ সরে যাচ্ছে। কার্যত নির্যাতিতাকে সুবিচার দেওয়ার নামে যেভাবে রাজনীতির লড়াই হচ্ছে, মানবিকতার বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তা দেখে ক্ষুব্ধ আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া আমজনতার। বিরুদ্ধতার পথে ভিড় জমতে শুরু করেছে। ফাটল তাই বাড়ছে। জেলায় জেলায় এমন ছবিও দেখা যাচ্ছে, রাত দখলের ডাক দিয়ে ভিড় জমানো হচ্ছে। আর সেই রাত দখলের জমায়েত থেকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠছে, তৃণমূলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হচ্ছে, দেশ বিরোধী শ্লোগান দেওয়া হচ্ছে, তখন আমজনতা সেই ভিড় থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। নিট রেজাল্ট জেলায় জেলায় গতি হারিয়েছে আন্দোলন। কার্যত তা বিপথগামী হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো যেভাবে বয়কট করার, বর্জন করার কথা বলা হচ্ছে, তা আর আমজনতা মেনে নিতে চাইছেন না। সারা বছর যে বাঙালি পুজোর জন্য হাপিত্যেশ করে অপেক্ষা করে তাঁরা আর রাজনীতির শিকার হতে চান না।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

বাড়ির ৪০০ বছরের পুজোতে আজও নস্টালজিয়ায় ভাসেন মালা রায়

রাত করে বাড়ি ফেরায় বকুনি, মাকে খুনের চেষ্টার পরেও গায়ে আগুন মেয়ের

মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল Joint Platform of Doctors’র, বিকালে জমায়েতের ডাক

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর