নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী(Ramnabami)। ওই দিনই রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানগুলি ছুটি(Holiday) পেতে চলেছে। কেননা, এই প্রথমবার রামনবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। শনিবার রাতেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। NI Act অনুযায়ী এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও একটা বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ছটি তো নাহয় মিললো, কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে এ রাজ্যে যেভাবে রামনবমীর দিন অশান্তির ঘটনা দেখা যাচ্ছে, সেই অশান্তির হাত থেকে রেহাই মিলবে কী? প্রশ্ন ঘুরেছে রাজ্য ঘিরেই। ঘটনা হচ্ছে, এবারে রামনবমী পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) সময়ে। সেই হেতু রাজ্যজুড়ে থাকছে বড় সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু তারপরেও অশান্তির আশঙ্কা পুরোপুরি কাটছে না। বরঞ্চ উদ্বেগ বেড়েছে বেশি মাত্রায়।
চিন্তা, আশঙ্কা, দুশ্চিন্তা কোথায়? গতবছরের রামনবমীর দিন হাওড়া শহর সহ গোটা বাংলা প্রত্যক্ষ করেছিল খোলা পিস্তল হাতে নৃত্য। আর তার পরে পরেই হাওড়া শহরের মল্লিকফটক, সন্ধ্যাবাজার, ফৈজিবাজার, বেঙ্গল জুট মিল, কাজিপাড়া, শিবপুর এলাকা জুড়ে অশান্তির আগুন লেগে যায়। একই রকম ভাবে আগুন লাগানো হয়েছিল হুগলি জেলার রিষড়ার বুকেও। প্রতিটি ক্ষেত্রে অশান্তি ছড়ানোর জন্য গেরুয়া ব্রিগেড বাংলার বাইরে থেকে ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসেছিল। তাঁদের কেউ কেউ পরে রাজ্য পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে।
এবারে তো রাজ্য প্রশাসন কার্যত বকলমে সেই গেরুয়া ব্রিগেডের হাতেই চলে যেতে বসেছে। সেক্ষেত্রে রামনবমীর দিনে অশান্তি হলে তো গেরুয়া ব্রিগেডেরই পোয়াবারো। কার্যত অনেকের আশঙ্কা, এবারে রামনবমীর সময়ে আরও বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ও অশান্তির ছক কষবে গেরুয়া ব্রিগেড। লক্ষ্য থাকবে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দিয়ে ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ চাগিয়ে দেওয়া। আর সেই সূত্রেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে যতটা বেশি সম্ভব আঘাত করা, ক্ষতিগ্রস্থ করা। লক্ষ্য থাকবে নিজেরা অশান্তি ছড়িয়ে তার দায়ভার সংখ্যালঘুদের ঘাড়ে চাপিয়ে তাঁদে জেলে ভরা। আর তাই উদ্বেগ, ভয়, দুশ্চিন্তা, আশঙ্কা এবারে সব থেকে বেশি।