নিজস্ব প্রতিনিধি, দার্জিলিং: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে যখন তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী, তখন বরফ দেখতে অনেকেই ছুটেছেন পাহাড়ে। এবার পাহাড়ও তাঁদের নিরাশ করেনি। প্রথমে রিষপ, পরে সান্দাকফুতে প্রবল তুষারপাত হয়। শনিবার থেকে সেখানে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে। বরফের চাদরে ঢেকেছে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কও।
আবার মঙ্গলবার রাত থেকে দার্জিলিংয়েও তুষারপাত চলছে। পাশাপাশি সিকিমের বহু এলাকা ভারী তুষারপাত হয়ে চলেছে। এর জেরে বহু এলাকায় আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। বিপাকে পড়া ওই পর্যটকদের নিরাপদে নীচে নিয়ে আসতে সাহায্য করছে পুলিশ, সীমা সুরক্ষা বল (এসএসবি) এবং স্থানীয় গাইড ও গাড়ি চালকরা। সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। ফলে এই বিপর্যয়েও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পর্যটকরা।
সূত্রের খবর, বুধবার পর্যন্ত সান্দাকফুতে আটকে পড়েছিলেন বহু পর্যটক। বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যে ৬০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদে মানেভঞ্জনে নামিয়ে নিয়ে আসে এসএসবি ও পুলিশ। সান্দাকফুর ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় গাইড এবং জেলা প্রশাসনের কর্মীরাও এই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন। জানা যাচ্ছে এখনও সান্দাকফুতে প্রচুর পর্যটক আটকে রয়েছেন। আসলে সেখানে পুরু বরফের স্তর জমেছে রাস্তায়। ফলে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে গত দুইদিন থেকে প্রবল তুষারপাত হয়েছে সিকিমের লাচুংয়ে।
সেখানেও আটকে বহু পর্যটক। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ঢেকে গিয়েছে বরফের পুরু চাদরে। সূত্রের খবর, সেখানে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি লাচুং জোমসার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। লাচুং থানার পুলিশও পর্যটকদের সাহায্য় করছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সেনাবাহিনীর জওয়ানরা সিকিমের ছাঙ্গুতে আটকে পড়া প্রায় ৪০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছেন।