নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভা ভোটের পরেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ‘গেল-গেল’ রব তুলেছিল বিজেপি সহ বিরোধি দলের নেতারা। তাতে সুর মিলিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে পড়েছিল মোদি ভক্ত সংবাদমাধ্যমের একাংশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলীয় কর্মী-সমর্থক হওয়ার অপরাধে গণধর্ষণ ও খুনের শিকার হতে হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তা যে কতটা অতিরঞ্জিত ছিল সোমবার তা প্রমাণিত হল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় যে ৩৯টি ধর্ষণের মামলার অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার মধ্যে ২১টির ক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ মেলেনি। ওই অভিযোগ ফিরিয়ে দেওয়ারও অনুমতি চেয়েছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টের পরেই ফের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্রের জমানায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির ভৃত্য সংস্থায় পরিণত হয়েছে, তা ফের একবার প্রমাণিত হল। কেননা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো তথাকথিত তদন্তকারী দলের রিপোর্টেই ওই ২১টি ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার তদন্তে নেমে বিশ্বাসযোগ্যহীন ও কেন্দ্রের তোতাপাখিতে পরিণত হওয়া সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার ৩৯টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ৫২টি খুন বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগেরও তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু এদিন তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২১ ধর্ষণ মামলায় কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে ওই মামলা কলকাতা হাইকোর্ট গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল সিটের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য ভোট পরবর্তী অশান্তিতে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে তা দু’সপ্তাহের হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে।