এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পুজোর পৌরহিত্যে আদিবাসী কিশোরী! প্রথা ভাঙলেন প্রীতিকণা

নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সরস্বতী বন্দনা। স্কুলে স্কুলে, বাড়িতে বাড়িতে, পাড়ায় পাড়ায় চলছে পলাশপ্রিয়ার আরাধনা। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ক্রমশই ছুটছে তলানির দিকে। তাই বেশ কিছুটা ভয়মুক্ত হয়েই বাঙালি এবার মেতেছে সরস্বতী পুজোয়। সেই পুজোর মাঝেই এদিন প্রথা ভাঙার ছবি ধরা পড়ল বীরভূম জেলার ইলামবাজারে। লালমাটির এই জেলার দক্ষিণতম প্রান্তে রয়েছে বোলপুর মহকুমা। আর সেই মহকুমার ইলামবাজার থানার অন্তর্গত গোপালনগর গ্রামে এদিন চোখে পড়ল বাগদেবীর আরাধনায় পৌরহিত্য করছেন কোনও ব্রাহ্মণ নন, এক আদিবাসী কন্যা। আর সেই ঘটনাই এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও প্রথা ভাঙার এই রীতি অনেকেই খুব একটা ভাল চোখে দেখছেন না। বাঁকা মুখে পাঁচকথা শোনাতেও ছাড়ছেন না। কিন্তু সেই বাঁকা কথায় কান না দিয়ে পুজো সম্পন্ন করেছেন সেই আদিবাসী কন্যা।  

ইলামবাজারের মতো সম্পূর্ণ গ্রামীণ এলাকায় প্রথা ভাঙার এই দুঃসাহস দেখিয়েছেন প্রীতিকণা জানা। গোপালনগর আদিবাসী পাড়াতে তাঁর একটি স্কুল আছে। সেই স্কুলেই এদিন তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে মেতে উঠেছেন সরস্বতী বন্দনায়। কচিকাঁচাদের নিয়েই স্কুলে তৈরি করেছেন খড় আর বাঁশের প্যান্ডেল। সেখানেই অধিষ্ঠান বিদ্যাদেবীর। তবে সব থেকে বড় চমক দিয়েছেন পুজোর ক্ষেত্রে। সরস্বতী পুজো করার জন্য ডাকেননি কোনও ব্রাহ্মণকে। বরঞ্চ তাঁর এক ছাত্রী চৈতালি মুর্মুকে দিয়ে সেই পুজো করিয়েছেন। আসলে প্রীতিকণার স্কুলের যে সব পড়ুয়া আছে তাঁদের একটা বড় অংশই আদিবাসী সমাজের। তাই তাঁদের হাত দিয়েই স্কুলের সরস্বতী পুজো করিয়েছেন প্রীতিকণা। আর তাই প্রথাগত ভাবে ঢাক-ঢোল না বাজিয়ে পুজো প্রাঙ্গণে ধামসা মাদল বাজানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

প্রীতিকণা জানিয়েছেন, ‘বাগদেবী সবার। তাই তাঁর আরাধনার অধিকার সবারই আছে। শুধু ব্রাহ্মণদেরই সেই পুজোর অধিকার আছে বা শুধুমাত্র পুরুষদেরই সেই অধিকার আছে তা কিন্তু নয়। শিক্ষার দেবী হিসেবেই পুজিত হন দেবী সরস্বতী। স্বেই শিক্ষার অধিকার সবার আছে। তাই তাঁকে পুজো করার অধিকারও সবারই আছে। আদিবাসী সমাজের যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্য মেনেই বাগদেবীর আরাধনা করা হচ্ছে। এখনও আদিবাসীদের ‘অসভ্য’ জাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। মনে করা হয় তারা এখনও পিছিয়ে রয়েছে তথাকথিত ‘সভ্য’ সমাজ থেকে। সেই কারণে আদিবাসী রীতি মেনেই এই পুজো করা হল। আমারই এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী এই পুজো করছে। পাশাপাশি ভোগের জন্য শালপাতা ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও কাঁসার বাসন ব্যবহার করা হচ্ছে না। আসলে আদিবাসী সমাজ যে সবার সামনে দাঁড়িয়ে পরিবেশ রক্ষার লড়াই করে সেই লড়াই ও আমাদের জনজীবনকেই তুলে ধরা হল এর মাধ্যমে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুক্রে  ঝাড়গ্রামে সভা মমতার, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার ক্ষমতা নেই কারও, হুঙ্কার অভিষেকের

মালদায় আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু ১১ জনের

‘২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মুখ খুলছে না, পাছে সত্যিটা বেরিয়ে পড়ে’, সরব মমতা

‘ভুল খবর ছড়িয়েছে, এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে’, INDIA জোট নিয়ে বড় বার্তা মমতার

বৃষ্টির কামনায় বট-পাকুর গাছের বিয়ে, পাত পেড়ে খেলেন ২,২০০ জন!

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর