নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী অভিনেতা। সেই সঙ্গে ২২ বছরের সংসদীয় জীবন। দুই দফায় ১২ বছর কাটিয়েছেন রাজ্যসভায়, পরে আরও দুই দফায় ১০ বছর কাটিয়েছেন লোকসভায়। হয়েছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রীও। এহেন এক দাপুটে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে সংসার করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। তিনি নিজেও কিন্তু কম ওজনদার নন। ১৯৬৮ সালের মিস ইয়ং ইন্ডিয়া সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিজয়িনী ছিলেন একসময়কার জনপ্রিয় অভিনেত্রীও। সেই সূত্রেই আলাপ হবু স্বামীর সঙ্গে। প্রেম করেই পার করেছেন ছাদনাতলা। তারপর নিজে বিদায় নিয়েছেন অভিনয় জগৎ থেকে। কিন্তু অবিচল ভাবে থেকে গিয়েছেন স্বামীর পাশেও। জীবনের সব ঝড়বৃষ্টি স্বামীর পাশে থেকে হাসিমুখেই কাটিয়েছেন। এবার আসানসোলে আবারও ভোটের লড়াইয়ে স্বামীর পাশে থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি, মানে পুনম সিনহা(Punam Sinha)। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার(Shatrughna Sinha) ঘরণী।
সোমবার সকালে শত্রুঘ্ন যান পশ্চিম বর্ধমান জেলার কালেক্টরেট বিল্ডিংয়ে। সেখানেই রয়েছে জেলা শাসকের কার্যালয়। জেলা শাসকের উপস্থিতিতেই এদিন মনোনয়ন দাখিল করেন শত্রুঘ্ন। সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন পুনম ও তৃণমূলের(TMC) সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১০ টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ আসানসোলে(Asansol) জেলা শাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে শত্রুঘ্ন হাজির হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি না থাকার জন্য তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। প্রায় ঘন্টা দুই বাদে তিনি বার হন জেলা শাসকের কার্যালয় থেকে। শত্রুঘ্ন সিনহা যে এলাকার ভোটার, সেখানকার জেলাশাসকের ক্লিয়ারেন্স থাকা আবশ্যক। সেই নথি না থাকার জন্যই সমস্যা তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। স্বামীর মনোনয়ন দাখিল করে বাইরে বেড়িয়ে আসার পরেই পুনম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর সেখানেই তিনি কৃতজ্ঞতা জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee)।
পুনম বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে খুব আনন্দের দিন। কারণ দিদি আমাদের এই সুযোগ দিয়েছেন। তাই আমরা খুব খুশি। শত্রুঘ্নর সঙ্গে যে দিন থেকে বিয়ে হয়েছে সে দিন থেকে আমি ওঁর সঙ্গেই আছি। ওঁর খেয়াল রাখি। এতদিন ঘর করেছি, আসানসোলেও ওর সঙ্গেই থাকব। দিদির আশীর্বাদ আছে। আমরা এই লড়াইয়ে নিশ্চয়ই জিতব। দিদিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে তিনি ওনাকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সম্মানের যোগ্য ব্যক্তি উনি। আজ খুবই খুশির দিন। এই ভোটে অবশ্যই জিতবেন শত্রুঘ্ন। স্বামীর পাশে থেকেই প্রচার করব। শত্রুঘ্নর জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের সঙ্গী আমি। সোনাক্ষী ছবির কাজে বাইরে রয়েছে। তবে মেয়ে যদি সময় পায়, তাহলে বাবার ভোট প্রচারে অবশ্যই আসানসোলে আসবে।’