নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ হয়ে গেল হলদিয়া বন্দর। বন্দরমুখী বেশ কয়েকটি জাহাজ ফিরে গিয়েছে। বিক্ষোভের জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষকে। আন্দোলন না থামলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার ট্রাফিক অভয় কুমার মহাপাত্র জানান, বন্দরে একটি জাহাজে ১৬০০ টন পণ্য খালাস হওয়া বাকি ছিল। একাধিক বার্থে জাহাজ থেকে পণ্য নামানো হলেও বার্থ থেকে পণ্য সরানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ড্রাইভাররা কাজ করেনি। ফলে বিদেশি জাহাজগুলির ক্ষেত্রে চাপ বাড়ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অচলাবস্থা তৈরি করার পিছনে যারা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি এক হ্যান্ডেলিং এজেন্টকে শোকজ করা হতে পারে।
গত মঙ্গলবারই শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হলদিয়া বন্দর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করা হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। বুধবার সকালেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। কর্মবিরতি শুরু করেছেন ২৫০০ জন শ্রমিক। পরিস্থিতি যা তাতে কবে যে হলদিয়া বন্দরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে, তা বলা যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যে শ্রমিক সংগঠনের তরফে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক জানিয়েছেন, হলদিয়াতে শ্রমিকদের শোষণ চলছে। শ্রমিকদের টাকা অনৈতিকভাবে কেটে নেওয়া হয়েছে।