নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়া শহর(Purulia Town) থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে, পুরুলিয়া-বরাকর রোডের পাশেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা(British) তৈরি করেছিল একটি যুদ্ধবিমান নামার Airstrip। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে সরকারি নথিতে সেটাই ছররা বিমানবন্দর(Charra Airport) নামে পরিচিত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) উদ্যোগে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে পুরুলিয়া বিমানবন্দর(Purulia Airport)। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এই বিমানবন্দর চালুর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সেইমতো কাজ শুরু হয়েছে। এই বিমানবন্দর তৈরির টাকা দেবে রাজ্য। তবে তা বানাবে Airport Authority of India বা AAI। দিনকয়েক আগেই এই পরিত্যক্ত Airstrip’র জমি পরিদর্শন করে আসেন AAI’র কর্তারা ও রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। রাজ্য সরকারের তরফে ছিলেন পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ সচিব, পুরুলিয়ার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে Chemotherapy বড়জোড়া Super Speciality Hospital-এ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের তৈরি একটি পরিত্যক্ত Airstrip-কেই নতুন করে Runway’র রূপ দেওয়া হবে। সেই Runway হবে ১৭২২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩৫০ মিটার প্রস্থ। ওই বড় মাপের Runway’র জন্য পুরুলিয়া বিমানবন্দরে ভবিষ্যৎকালে ছোট, মাঝারি, বড় সব ধরনের বিমানই নামতে পারবে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিমান উড়তে এবং নামতে পারবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়াকে কেন্দ্র করে পর্যটনশিল্পের বিকাশও ব্যাপকভাবে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও চাইছেন এরাজ্যে পর্যটনের বিকাশ। বিমানবন্দর তৈরি হলে তাতে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আসা-যাওয়ায় অনেক সুবিধা হবে। পুরুলিয়া জেলা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনি পড়শি বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা সহ ঝাড়খণ্ডেরও বেশ কিছু জেলার হাল বদলে যেতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
আরও পড়ুন মালদায় টুকলিতে বাধা দেওয়ায় রাস্তা অবরোধ পরীক্ষার্থীদের
আটের দশকেই ছাররার এয়ারস্ট্রিপ ও তার সংলগ্ন ওই বিপুল জমি রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এতদিন সেটি পরিত্যক্ত হিসাবেই পড়ে ছিল। প্রশাসনের দাবি, পুরুলিয়া থেকে সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর রাঁচিতে। আবার এই এলাকার খুব কাছেই পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বোকারোর শিল্পতালুক। ছাররা সংলগ্ন ওই এয়ারস্ট্রিপের পুরনো পরিকাঠামোকে ঘিরেই নতুনভাবে বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ ওই এলাকায় বিশেষ জনবসতি না-থাকায় জমিকে ঘিরে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশাবাদী প্রশাসন৷ বিমানবন্দর তৈরি হলে ভাল যাত্রীও পাওয়া যাবে এখান থেকে।