নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সফলতম সভাপতি। বঙ্গ বিজেপিতে তিনি যে সময়ে সভাপতি পদে ছিলেন সেই সময়েই এই বাংলার মাটিতে পদ্মশিবির সব থেকে বড় দুই সাফল্যের মুখ দেখেছে। প্রথম সাফল্য এসেছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, দ্বিতীয় সাফল্য এসেছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। উনিশের ভোটে বিজেপি বাংলার মাটি থেকে পেয়েছিল ১৮জন সাংসদ আর একুশের ভোটে পেয়েছিল ৭৭ জন বিধায়ক। এত বেশি সংখ্যক সাংসদ ও বিধায়ক তার আগে বাংলার মাটি থেকে কোনওদিনই পায়নি বিজেপি। কিন্তু তাঁর আমলে বাংলার মাটিতে দলের সেই সাফল্যকে তাঁর কৃতিত্ব হিসাবে দেখেনি পদ্মশিবির। বরঞ্চ তাঁর পদের মেয়াদ ফোরানোর আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রতি দলের সেই দুর্ব্যবহার মেনে নিতে পারেননি তাঁর মাও। লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) মুখ সেই মা জানিয়ে দিলেন অকপটে যে, ‘ছেলে দলকে ভালবেসেছে, দল ছেলেকে ভালবাসেনি’। নজরে দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh) ও তাঁর মা পুষ্পলতা ঘোষ(Pushpalata Ghosh)।
দিলীপকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যেমন তাঁর অনুগামীরা মেনে নিতে পারেননি, তেমনি ২৪’র ভোটে দিলীপকে তাঁর আগেরবারে জেতা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট না দিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার বিষয়টিও তাঁর অনুগামীরা মেনে নিতে পারেননি। একুশের ভোটের আগে যেভাবে কাছা খোলা হারে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে লোক নেওয়ার ঘটনা যেমন দিলীপ মানতে পারেননি, তেমনি মানতে পারেননি হিন্দিভাষীদের এ রাজ্যে দাপাদাপি। কিন্তু তাঁর মতামতকে সেভাবে গুরুত্বই দেয়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে দিলীপ দলের মধ্যে ততই কোনঠাসা হয়েছেন। এই সব কিছুই কিনতি দেখেছেন দিলীপের মা। এখন যখন তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তখন আর চুপ করে থাকনেনি তিনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ছেলে দলের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। দলটাকে ভালবেসেছে। কিন্তু দল ছেলেকে ভালোবাসেনি, তার পরিশ্রমের দামও দেয়নি।’ দিলীপের মায়ের এই স্বীকারোক্তি এখন বিজেপির মুখ পোড়াচ্ছে।