27ºc, Haze
Sunday, 14th August, 2022 12:26 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা গবেষণার খবর দিচ্ছি আপনাদের। গবেষণার বিষয়বস্তু, ‘বিশ্ব শান্তি দুহিতা, মমতাময়ী মমতা’। আর সেই গবেষণা করছেন কে? নাহ নদিয়া জেলার কল্যাণী(Kalyani) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক(EX TMC MLA) রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস(Ramendranath Bishwash)। একুশের ভোটে তিনি আর টিকিট পাননি। আর তারপর থেকেই তিনি শুরু করেছেন গবেষণা। তাও খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে। কিন্তু সেই গবেষণার বিষয়বস্তু নয় অগ্নিকন্যার লড়াই, বিষয়বস্তু নয় তৃণমূলনেত্রীর রাজনৈতিক জীবন, এমনকি বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বাংলার বুকে যে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে, এই বিষয়টিও। বরঞ্চ গবেষণার বিষয় হয়েছে বর্তমান বিশ্বের অস্থির পরিস্থিতিতে মমতা কীভাবে সামাল দিচ্ছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন গবেষণার বিষয়বস্তু ছড়িয়ে পড়তে নানাজনের নানান মত উঠে আসছে। কেউ বলছেন একুশে হেরে ছাব্বিশের টিকিট পাওয়ার রাস্তাটা কার্যত তৈরি করে রাখছেন কল্যাণীর প্রাক্তন বিধায়ক। আবার কেউ বলছেন, নেই কাজ তো খই ভাজ। দলনেত্রীকে খুশি করে চলেছেন প্রাক্তন বিধায়ক। আবার কেউ কেউ এটাও বলছেন, তৃণমূলনেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রীর উত্থানের রাস্তা গড়ে দিচ্ছেন কল্যাণীর প্রাক্তন বিধায়ক। ঘটনা যাই হোক, ৮০ বছর বয়সে চালিয়ে খেলছেন মিস্টার রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। মমতাকে বিশ্বশান্তির অগ্রদূত বানিয়ে নিজের জন্য একটা ডি লিট ডিগ্রি অর্জনের পথে নেমে পড়েছেন রমেন্দ্রনাথ। কিন্তু মমতাকে নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বশান্তির কথাই হঠাৎ মনে হল কেন রমেন্দ্রনাথের? প্রশ্ন ধেয়ে যেতেই সাফ জবাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি গোটা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে মমতার উদ্যোগ সারা দেশ দেখেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্ব শান্তির বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হল রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি কন্যাশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প বিশ্ব দরদারে প্রশংসিত হয়েছে, স্বীকৃতি অর্জন করেছে, পুরস্কৃত হয়েছে। তাই রমেন্দ্রনাথের চোখে মমতা বিশ্বশান্তির অগ্রদূত।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ডক্টর অফ লিটারেচার বা ডি লিট(D. Lit) ডিগ্রি নিতে চাইছেন রমেন্দ্রনাথ। সেখানে গবেষণাসংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে তাঁর। গবেষণাপত্র যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে ফেলতে চান রমেন্দ্রনাথবাবু। তাঁর দাবি, অগ্নিকন্যা বললে মমতাকে বোঝানো হয়। তাঁর দৃষ্টিতে তিনি শুধু নন অগ্নিকন্যা, তিনি বিশ্ব শান্তি দুহিতাও। তিনি শান্তির অগ্রদূত। তাই তাঁর কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে চান রমেন্দ্রনাথবাবু। রমেন্দ্রনাথবাবু এমনিতেই ডবল এমএ। বাংলা ও সংস্কৃততে রয়েছে তাঁর সেই ডিগ্রি। বিএড, পিএইচডি ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর। বাংলা, সংস্কৃত মিলে বাংলা নাট্যসাহিত্যে মহাকবি কালিদাসের প্রভাব শীর্ষক গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। এবার বিশ্ব-মমতা-শান্তিকে এক পংক্তিতে রেখে ডি লিট ডিগ্রি অর্জনের পথে পা ফেলেছেন।