নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও ধরা পড়ল পাচারকারী (SMUGGLER)। পুলিশের (POLICE) তৎপরতায় গ্রেফতার ২ পাচারকারী। ধৃতরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। ছক ছিল পুলিশ, বনদফতর এবং বিএসএফ জওয়ানদের চোখ এড়িয়ে হরিণের শিং পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল, বলে খবর। পাচার করার চেষ্টা চলছিল ইন্দো- নেপাল সীমান্ত থেকে। পাচারকারীদের পাকড়াও করা হয়েছে বিহার লাগোয়া অঞ্চল থেকে।
জানা গিয়েছে, হরিণের শিং নেপালে পাচার করার ছক কষা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বিহার সংলগ্ন অঞ্চলের খড়িবাড়ি ব্লকের চেকরমারি এলাকা থেকে। হরিণের সিং উদ্ধার করেছে এসএসবি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসএসবি মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপন অভিযান চালায় । জানা গিয়েছে, চেকরমারি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া হরিণের শিং দেখে বোঝা যাচ্ছে, তা পূর্ণ বয়স্ক হরিণের। শিংটির আনুমানিক ওজন প্রায় দেড় কেজি।
পলিথিনে মুড়ে সেই শিং পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এসএসবি ইতিমধ্যেই সেই শিং উদ্ধার করে তুলে দিয়েছে বনদফতরের (FOREST DEPARTMENT) হাতে। ধৃতদেরও তুলে দেওয়া হয়েছে বনদফতরের হাতে। তুলে দেওয়া হয়েছে কার্শিয়াং বিভাগের ঘোষপুকুর রেঞ্জের হাতে। ধৃতরা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। এই ২ পাচারকারীর নাম মহম্মদ রশিদ ও অনিল কুমার প্রামাণিক। উত্তর কার্শিয়াং দিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। পাচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল ইন্দো- নেপাল সীমান্ত।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন নইহাটি স্টেশন থেকে ধরা পড়েছিল ২ পাচারকারী। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বস্তায় বড় ও মাঝারি আকারের কচ্ছপ ভর্তি ছিল। এর মধ্যে বড় কচ্ছপ ৩ টি। আর ৩ টি মৃত কচ্ছপ। মোট কচ্ছপের সংখ্যা ১০৩। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে তা পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের নাম রিয়া পাথরকর ও কাঞ্চন পাথরকর। ২ জনেই উত্তরপ্রদেশের (UP) বাসিন্দা। প্রথম জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয় জনের বাড়ি পাকরো গ্রামে। জানা গিয়েছে, বাংলায় এই কচ্ছপের দাম প্রায় ৪০০ টাকা। তবে বাংলাদেশে দাম কয়েক হাজার। উত্তরপ্রদেশ থেকে কচ্ছপগুলি পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল।