নিজস্ব প্রতিনিধি,গঙ্গাসাগর: বঙ্গের দুর্যোগে নিম্নচাপ আর কোটালের জোড়া ফলায় কার্যত বিপর্যস্ত সুন্দরবন এলাকা। পূর্ণিমার কোটালের জেরে সুন্দরবন উপকূল তীরবর্তী এলাকার একাধিক নদীতে জলস্মৃতি দেখা দিয়েছে। প্রবল হাওয়া ও কোটালের জোড়া ফালায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর থেকে নদী। কার্যত রুদ্র রূপ ধারণ করেছে শান্ত নদীগুলি। জলস্মৃতির ফলে সুন্দরবনের(Sundarban) একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার নদীর বাঁধ উঠছে নদীর নোনা জল গ্রামের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। নষ্ট হয়েছে চাষের জমি।
নিম্নচাপ আর কোটালের জোড়া ফালায় গঙ্গাসাগরের মহিষামারি বিভিন্ন জায়গায় নদী বাঁধে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে মাটির নদী বাঁধ উঠছে গ্রামের মধ্যে ঢুকেছে জল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধের আবেদন করা হয়েছে বারবার কিন্তু অস্থায়ীভাবে এই উপকূল তীরবর্তী এলাকায় নদী বাঁধ গুলি করেছে সেচ দপ্তর। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আবার নতুন করে আতঙ্ক ডানা বেঁধেছে মহিষামারীতে প্রায় ৪০০ মিটার নদী বাঁধে(River Dam) ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কে তড়িঘড়ি খবর দিয়েছে সেচ দপ্তরকে। বেহাল নদীবাঁধ পরিদর্শন করতে এসে সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা। সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল গ্রামবাসীরা।
তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস তিনি বলেন, বেহাল নদী বাঁধ অস্থায়ীভাবে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে মেরামতি করা হয়েছিল কিন্তু উত্তাল ঢেউ আর দমকা হওয়ার জেরে সেই নদী বাঁধে আবারো ফাটল দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমরা সেচ দপ্তরের(Irregration Derpartment) আধিকারিকদের খবর দিয়েছিলাম সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা এসে বাঁধ পরিদর্শন করেছে। আমরা সেচ দপ্তরের আধিকারিক এর কাছে আবেদন জানিয়েছি যে অতি দ্রুততার সাথে এই ৪00 মিটারের নদী বাঁধদের কাজ খুবই শীঘ্রই শুরু করে দিতে হবে না হলে আজ রাতের মধ্যে গোটা গ্রাম ডুবে যাবে। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অতি দ্রুততার সাথে এই এলাকার বেহাল নদী বাঁধগুলি মেরামতির কাজ শুরু করবে সেচ দপ্তর।