নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালিতে গত কয়েকদিন ধরে চলা স্বঘোষিত গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ ও তাণ্ডবের পিছনে সিপিএম ও বিজেপি রয়েছে বলে অভিযোগ বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার। রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির হানা দেওয়ার পরেই সিপিএমের নিরাপদ সর্দার ও বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ গ্রামবাসীদের একাংশকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা সংগঠিত করেছিলেন। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে অশান্তি তৈরির পিছনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিরাপদ সর্দার ও বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সন্দেশখালির তিন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে জুলুমবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কয়েকদিন ধরে টানা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সিপিএম এবং বিজেপি সমর্থকরা। বিক্ষোভের সময়ে বিজেপিপন্থী সংবাদমাধ্যমের শেখানো বুলি আওড়ে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মতো বিস্ফোরক অভিযোগও তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। যদিও জাতীয় মহিলা কমিশন ও রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে ওই অভিযোগ করেননি বিক্ষোভকারীরা। অর্থাৎ শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ যে শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্টে সুগভীর ষড়যন্ত্র তা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই অভিযোগকারিনীদের লাই ডিটেক্টর পরীক্ষায় বসানোর দাবি তোলা হয়েছে।
সন্দেশখালি যখন বিক্ষোভে উত্তাল তখন খানিকটা আড়ালে চলে গিয়েছিলেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসেন তিনি। এক বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘দোষী প্রমাণিত হলে যে কোনও শাস্তি মাথা পেতে নেব। জীবনে কখনও কোনও অন্যায় করিনি। সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়েছি।’ তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকায় চার লক্ষের বেশি ভোটার। কিন্তু বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কয়েকশো গ্রামবাসী। বিক্ষোভকারীদের যৌথভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সিপিএম এবং বিজেপি। আরএসএস নেতাদের পাশাপাশি বহিরাগতরা ঢুকে কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, কী কী অভিযোগ তুলতে হবে তা পাখি পড়ার মতো করে বুঝিয়েছে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার এবং বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের যৌথ উদ্যোগেই বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে।’