নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তার মাঝেই বার্তা দিয়েছিলেন যে, দল তাঁর পাশেই থাকছে। তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এবার তাঁকেই ধাক্কা দিল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি-১ ব্লকের ন্যাজাট থানার সরবেরিয়া গ্রামে গিয়ে গত শুক্রবারে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED’র আধিকারিকেরা। পরে ED’র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, গ্রামবাসীরা তাদের অফিসারদের খুন করার চেষ্টা করেছিল। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন তিনি মানে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য এবং জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহাজাহান(Sheikh Sahajahan)। এবার তাঁর হাতে থাকা প্রশাসনিক দায়িত্ব কেড়ে নিল তাঁর দল, মানে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শাহাজাহানের হাতে থাকা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দেখবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী(Narayan Goswami)।
শেখ শাহাজাহানের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বাম জমানায় সিপিএমের সঙ্গে। ২০০৮-০৯ থেকে ক্রমশ সিপিএমের থেকে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন তিনি। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তৃণমূলের সঙ্গে। রাজ্যে পালাবদলের পরে ২০১১ সালে সরাসরি তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তারপর থেকেই তাঁর নাকি রকেট গতিতে উত্থান। তৃণমূল নেতা হিসেবে শাসকদলে ইনিংস শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই সন্দেশখালি-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি হয়ে যান তিনি। তারপরেই হন আগাপুর সরবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। সেখান থেকে ওই পঞ্চায়েতেরই প্রধান পদে বসেন শাহাজাহান। এরপর ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে জিতে একেবারে জেলা পরিষদের সদস্য। এতদিন তিনি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এদিন তাঁকে সেই পদ থেকে অপসারণ করার কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। এমনকি মৌখিক ভাবেও এই নিয়ে দলের তরফে কোনও ঘোষনা করা হয়নি। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁর হাতে থাকা দফতর নারায়ণ গোস্বামীকে দেখতে বলা হয়েছে।