নিজস্ব প্রতিনিধি: ধেয়ে আসছে সিত্রাং (SITRANG)। তবে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রাজ্য। সেই মোকাবিলা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত দফতরের আধিকারিকরা।
বিশেষ এই বৈঠক বসেছিল নবান্নে। মুখ্যসচিবের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত দফতরের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা। নবান্ন সূত্রে খবর, ২০টি এসডিআরএফ (রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী) (SDRF) এবং ১৫টি এনডিআরএফ (জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী) (NDRF) দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলোর উৎসবে যেন ‘অন্ধকার’ না নেমে আসে এটাই প্রার্থনা সাধরণ মানুষের। তৎপর প্রশাসন। উল্লেখ্য, আগামী ২৪ তারিখে কালীপুজোর দিনে নিম্নচাপ রূপ নেবে সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের। আগামী ২৫ তারিখ দিওয়ালির দিনে তা আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলে।
প্রসঙ্গত, পুরনিগম বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম এদিন সিইএসসিকে নির্দেশ দেন, যেই সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির পবণতা দেখা যায়, সেই সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। না হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মেয়র এদিন বলেন, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা যাতে না ঘটে সেই কারণে তৎপর থাকবে প্রশাসন। জল জমতে দেওয়া হবে না। খুলে রাখা হবে সমস্ত পাম্পিং স্টেশন।
পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত বরো অফিসে। জানা গিয়েছে, খুলে রাখা হবে সমস্ত কমিউনিটি হল। সতর্ক থাকবেন এলাকার ওসিরা। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে পুরনিগমের সমস্ত কর্তা এবং কর্মীদের ছুটি। ফাঁকা করা হচ্ছে বিপজ্জনক বাড়িগুলি। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের রাখা হবে কমিউনিটি হলে। ওই হলে সমস্ত রকমের পরিষেবা থাকবে।