নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য পুলিশের(West Bengal State Police) এডিজি(আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা জানিয়েছিলেন সন্দেশখালির(Sandeshkhali) পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বলেছিলেন, ‘গত দু-তিন দিন ধরে বসিরহাট পুলিশ জেলার(Basirhat Police District) সন্দেশখালিতে কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উচ্চপদস্থ অফিসারও আছেন। যাঁরা এই হিংসার ঘটনায় জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্দেশখালিতে হিংসার ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। কারও যদি কোনও অভিযোগ থাকে, আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি সেটারও তদন্ত হবে। অভিযোগ যা হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে যা পাওয়া যাবে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কেউ নিজের হাতে আইনকে তুলে নেবেন না।’ সেই বার্তার পর পরেই শুক্রবার রাত থেকে সন্দেশখালিতে জারি করে দেওয়া হয়েছে ১৪৪ ধারা(Section 144 Imposed)। এদিন অর্থাৎ শনিবার সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে সন্দেশখালিতে সব দোকান বাজার বন্ধ। রাস্তাঘাট ফাঁকা। বাড়ির বাইরে কেউ পা রাখেননি বললেই চলে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
গতকাল সারা দিন ধরেই দফায় দফায় সন্দেশখালি থানার সামনে যৌথ ভাবে বিক্ষোভ দেখায় জমি রক্ষা কমিটি এবং আদিবাসীদের সংগঠন। সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বিক্ষোভ উঠে গেলেও বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি ছিল, শনিবার আবার আন্দোলনে শামিল হবেন তাঁরা। এর পর শুক্রবার রাতেই বিশাল বাহিনী দিয়ে সন্দেশখালি থানা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুরু হয় রুটমার্চ। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও শুক্রবার রাতের মধ্যেই সন্দেশখালি পৌঁছন। এর পর সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধরা জারি করে পুলিশ। এদিন সকালে দেখা যায় পরিস্থিতি বেশ থমথমে। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের একাংশ। গত কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল সন্দেশখালির বিক্ষোভে বাঁশ, দা, কাটারি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন মূলত মহিলারা। এদিন তাই বেশি সংখ্যক মহিলা পুলিশ আনা হয়েছে যাতে বিক্ষোভ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ক্ষোভের আগুনে বহিরাগতরা ঘি ঢালায় পরিস্থিতি এত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।