নিজস্ব প্রতিনিধি: মালদার(Malda) বৈষ্ণবনগরের(Baishanabnagar) পারদেওয়ানাপুর(Pardewanpur) ও শোভাপুর অঞ্চলে ভাঙনের জেরে ভিটেবাড়ি হারাল বহু পরিবার। মঙ্গলবার রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে গঙ্গা নদী(Ganges)। আর তাঁর জেরেই ভাঙন শুরু বাঁধের। গঙ্গার রোষে কবলে মালদার একাধিক ঘরবাড়ি। তার থেকে বাদ যায়নি একাধিক ধর্মীয় মন্দির সহ ঐতিহ্যবাহী স্থান। এই ঘটনায় রীতি মতো ভেঙে পড়েছেন মালদাবাসী। বুধবার সকাল থেকেই জেলা প্রশাসন থেকে দুর্গত পরিবারগুলির জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানীয় জল থেকে খাবার সব কিছুর বন্দোবস্ত করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। সেই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী স্থান সহ বাড়িঘরগুলি যাতে রক্ষা করা যায় তাঁর জন্য প্রশাসনিক ভাবে সেচদফতরকে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। সেচদফতর থেকে নদীর বাঁধ ভাঙন রোধ করতে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করাও হয়েছে।
মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘গঙ্গার এই তাণ্ডবে রীতিমতো উদ্বিগ্নে রয়েছে জেলা প্রশাসন। পারলালপুর ও পারদেওয়ানাপুর অঞ্চলে ভাঙন আরও তিব্র হচ্ছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের যা করার করে ফেলতে হবে।’ অন্যদিকে উৎসবের মাঝে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলি এখন চরম অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গঙ্গার কবলে থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তাঁরা। ভাঙনে সর্বহারা স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ফিরোজ, শওকত হকরা জানিয়েছেন, বসতিবাড়ি, চাষের জমি, বাঁশঝাড় সমস্থটাই নদী গিলে খেয়েছে। এখন তাঁরা কি খাবেন, কি পড়বে্ন, পরিবারকেই বা কি খাওয়াবেন কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। সরকারের কাছে তাঁরা আবেদন করেছেন যে বিষয়টি যাতে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। যদিও প্রসাসনিক ভাবে ইতিমধ্যেই দুর্গত মানুষদের ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুর্গতদের জন্য চাল, ডাল, মুড়ি থেকে শুরু করে ত্রিপল বন্দোবস্ত করতে।