এই মুহূর্তে

বাংলার ঠিক কতজন মৃত, বাড়ছে ধোঁয়াশা, নিখোঁজ বহু

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্র সন্ধ্যায় ওড়িশার(Orrisa) বালেশ্বরের(Baleshwar) থেকে ১১কিমি দূরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার(Coromondol Express Accident) মুখে পড়ে হাওড়ার শালিমার থেকে ছাড়া চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনায় রেলের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৬১। যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে দেহ উদ্ধারের সংখ্যা বেলা ১০টা পর্যন্ত ২৮০। আহতদের সংখ্যা রেলের হিসাবে ৬৫০, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি সেই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। হাজারের কাছাকাছি মানুষ আহত হয়েছেন। এই অবস্থায় সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়েছে বাংলার(Bengal) ঠিক কতজন মানুষ এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন? ইতিমধ্যেই ২৪ জনের মৃত্যুর খবর সুনিশ্চিত করা হয়েছে রেলের তরফে। তাঁদের মধ্যে ১২জনই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার। কিন্তু নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। কার্যত তা শতাধিক। এই অবস্থায় বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেন, দেশের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি Anti Collison Device System লাগু করে এসেছিলেন। সেই প্রযুক্তি করমন্ডল এক্সপ্রেস ও তাতে ধাক্কা মারা হামসফর এক্সপ্রেসে ছিল না। কেন তা ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তদন্তের আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন বালেশ্বরে পৌঁছালেন মমতা, ৫ লক্ষের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

বাংলার নিখোঁজ মানুষদের সন্ধানে হাওড়া, শালিমার, সাঁতরাগাছি ও খড়পুর স্টেশনে ভিড় বাড়ছে আমজনতার। এই ৪টি জায়গা থেকেই ১৪০জন যাত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে করমন্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের পরেই ছিল একটি লাগেজ ভ্যান। তারপরেই ছিল ৪টি অসংরক্ষিত কামরা এবং ৩টি সংরক্ষিত কামরা S1, S2 ও S3। লাগেজ ভ্যানে সেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হলেও তার পরে থাকা ওই ৭টি কামরা কার্যত গুঁড়িয়ে গিয়েছে। মৃতদের প্রায় সবাই এই ৭টি কামরার যাত্রী ছিলেন। সংরক্ষিত ৩টি কামরার যাত্রীদের নাম পাওয়া গেলেও অসংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের সংখ্যা ঠিক কত ছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের পাশাপাশি উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত সদস্যদের দাবি অসংখ্য মানুষের দেহ কার্যত দুর্ঘটনার অভিঘাতে ও সংঘর্ষে পিষে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনের কামরা, রেললাইন ও তার আশেপাশে বহু মানুষের দেহাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া দেহের বেশি কিছু শনাক্তকরণের অবস্থায় নেই। অনেকেই এখনও সেই সব দেহ শনাক্ত করার জন্য বালেশ্বর গিয়ে পৌঁছাতেই পারেননি। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাতের অন্ধকারে শতাধিক দেহ লোপাট করা হয়েছে। যদিও রেল তা মানতে নারাজ।

আরও পড়ুন করমন্ডল দুর্ঘটনায় রাজ্যের ৯ বাসিন্দার মৃত্যু, নিখোঁজ ৪

জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেককেই শনাক্ত করা হয়েছিল DNA Test’র মাধ্যমে। তারপরেও ১০-১২টি দেহবাশেষ আজও DNA Test’র পরেও শনাক্ত হয়নি। এমনকি সেই দুর্ঘটনার প রে ২০-২১জন নিখোঁজের তালিকাতেই থেকে গিয়েছেন। এখন অনেকেই মনে করছেন করমন্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত ও নিখোঁজদের অবস্থাও একই রকম হতে চলেছে। অর্থাৎ বেশ কিছু দেহ শনাক্ত করতে যেমন DNA Test করতে হবে তেমনি তারপরেও কিছু দেহবাশেষ থেকে যেতে পারে যা শনাক্ত হবে না। এমনকি যারা নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন তাঁদের সবার তথ্য নাও মিলতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় যারা আটকে গিয়েছেন ও আহত হয়েছে তাঁদের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও করা হবে। নিহতদের দেহ যাতে তাঁদের পরিবারের কাছে দ্রুত পৌঁছায় সেতাও দেখা হবে। তবে তিনি সব থেকে বেশি ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন এই বলে যা ‘রেল যাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলছে। কোনও সমন্বয়, নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থাই ছিল না।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর