এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

CAA বিশবাঁও জলে, দলের সভা এড়াচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর

নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দলের যাতে ভাল ফল হয় তার জন্য গেরুয়া শিবির থেকে নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই ছোটবড় কর্মী সভার আয়োজন করা হচ্ছে। সেই সব সভায় গিয়ে গরমাগরম বক্তৃতা দিয়ে আসছেন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে দলের রাজ্য নেতৃত্বের নানান নেতারা। সেই সূত্রেই রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার(North 24 Pargana) বনগাঁ(Bongna) ব্লক বিজেপির পক্ষ থেকে গোপালনগর হাইস্কুলে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় থাকার কথা ছিল বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া সমাজের ধর্মসামাজিক কেন্দ্র ঠাকুরবাড়ির বড় ছেলে ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের(Shantanu Thakur)। কিন্তু সেই সভায় শান্তনু তো দূরের কথা, তাঁর অনুগামীদেরও দেখা মেলেনি। প্রথমদিকে অনেকেই ভেবেছিলেন দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এখন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আসলে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্ট বা CAA আইন এখন বিশবাঁও জলে। সেই কারণেই কার্যত দলের কর্মী সমর্থকদের এড়িয়ে যাচ্ছেন শান্তনু। 

আরও পড়ুন সূর্যকান্ত চোখ রাঙাচ্ছেন আর গণশক্তি গেরুয়া বিজ্ঞাপণ ছাপছে

মতুয়ারা দীর্ঘদিন দিন ধরেই দেশের নাগরিকত্ব প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছেন। তৃণমূলের দাবি, যেহেতু তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের রেশন কার্ড থেকে প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড আছ তাই তাঁরা ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিক হয়ে গিয়েছেন। আলাদা করে নাগরিক্ত্ব প্রদানের কোনও বিষয় নেই। কিন্তু সেই কথায় ভরসা রাখেনি মতুয়ারা। তাঁদের এই নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়েই বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের সমর্থন আদায় করেছিল। কিন্তু নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য কেন্দ্র সরকার যে CAA আইন লাগু করার কথা বার বার বলছে সেই আইনটি দেশজুড়ে লাগু করার জন্য প্রয়োজনীয় শায়ক আরও বেশ কিছু আইনের প্রয়োজন যা আজও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার করে উঠতে পারেনি। কার্যত অনেকেরই আশঙ্কা এই আইন লাগু হওয়ার বিষয়টাই এখন বিশবাঁও জলে চলে গিয়েছে। কিন্তু মতুয়ারা বার বার নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি নিয়ে শান্তনু সহ বিজেপি নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন রেখেই চলেছে। তার জেরে তাঁরা যা শুধু প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তাই নয়, পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছেন। তাঁরা না বলতে পারছেন যে, মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তাঁদের নেই। না বলতে পারছেন খুব দ্রুত CAA আইন লাগু হওয়ার কোনও সম্ভাবনাও নেই। তাই শান্তনুর মতো মতুয়া নেতারা এখন কার্যত পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের ধারনা।

আরও পড়ুন ১০০ দিনের শূন্যস্থান পূরণ মমতার ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে

মোদি সরকারের সাধের সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ড অ্যাক্ট বা CAA ২০১৯ সালে সংসদে পাশ করানো হয়। কিন্তু এখনও সেই আইন লাগু করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি বা রুল তৈরি করতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। উল্টে সংসদীয় কমিটির কাছে বারবার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে গিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। সম্প্রতি অষ্টম দফায় এই আইনের লাগু হওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত অনুমোদনঙ্করেছে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। তবে লোকসভার কমিটির থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে মন্ত্রক। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সংসদীয় নীতি অনুযায়ী, সরকার কোনও আইন পাশ করার পর, তা ছ’মাসের মধ্যে কার্যকর করতে না পারলে সংসদীয় কমিটির কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানাতে হয়। ইতিমধ্যে আটবার রাজ্যসভা এবং সাতবার লোকসভা অনুমতি দিয়েছে। এদিকে জুন মাস পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হলেও সিএএ কার্যকর নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কেননা  চলতি বছর কাশ্মীর ও ন’টি রাজ্যের বিধানসভা ভোট। আর পরের বছর লোকসভা ভোট। ফলে জুনের অনেক আগে থেকেই ভোটের দামামা বেজে যাবে। এই পরিস্থিতিতে সিএএ নিয়ে আদৌ অগ্রসর হওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে লোকসভা ভোটের আগে এগুলি চালুর কোনও সম্ভাবনাই নেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর