নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালির গর্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করল ইউনেস্কো। রবিবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভারতের ৪১টি স্থানকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা করল ইউনেস্কো।
শিক্ষাকে অন্যভাবে উপস্থাপিত করার লক্ষ্যে ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে। ১১৩০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯২২ সালের মে মাসে বিশ্বভারতী সোসাইটি একটি সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত না হওয়া পর্যন্ত এটি নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামেই ছিল। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সম্পত্তি, জমি এবং একটি বাংলো সেই সময়ে বিশ্বভারতী সোসাইটিকে দান করেছিলেন। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত এটি একটি কলেজ ছিল। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্বিতীয় উপাচার্য ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষিতিমোহন সেন।
দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দেওয়ার দাবি উঠেছিল। চলতি বছরের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছিলেন, বিশ্বের ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে শান্তিনিকেতন। এদিন শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে ইউনেস্কো ঘোষণা করার পরেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লিগিং সাইট ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘‘বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল। সংস্কৃতি এবং মেধায় নোবেলজয়ীয় যে অবদান রয়েছে, তাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল। চলুন, রবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করি।’