নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধুমাত্র নাম ঘোষণার অপেক্ষা ছিল, আর তারপরেই তেড়েফুড়ে প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থী। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয় পেতেই বাকি থাকা চার আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তারপরেই দেরী না করে প্রচারে নেমে পড়েছেন দুই কেন্দ্রের প্রার্থী। শান্তিপুর আসনে ভোটে জেতেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার কিন্তু সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন। আর তারপরেই সেই আসন ফাঁকা হয়ে যায় ও গোসাবা আসনে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে ফাঁকা হয় সেই আসন। আর এই দুই আসন ছাড়া বাকি থাকা দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তারপরেই প্রচারে নেমে পড়েছেন দুই তৃণমূল কংগ্রেস।
শান্তিপুরের বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির বংশধর ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এটা ‘মাস্টারস্ট্রোক’। আর আজ দুপুর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। অপরদিকে গোসাবায় প্রচার সারছেন প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলও। নাম ঘোষণার পরই গোসাবা বাজারে একটি মিছিল করেন তিনি। সেখানে বিতরণ করা হয় রসগোল্লা। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন বেশ কয়েক বছর। আগামীকাল খড়দাতে প্রচার করবেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায়। প্রচারে বেড়িয়েই শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটি দল, যেখানে সবধর্মের মানুষকে রক্ষা করে। আমি চাই, মন্দির, মসজিদ, গির্জা-সহ সবকিছুর উন্নয়ন করতে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিতে সক্রিয়তা আমার ছিল না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। ইফতার পার্টি থেকে শুরু করে যে কোনও অনুষ্ঠান তা রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক হোক, আমি গিয়েছি। আমার পড়াশোনা রাজনীতি নিয়েই।’ দলের প্রার্থী নির্বাচনে খুশি স্থানীয় নেতারাও। তৃণমূল কংগ্রেসের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর জানিয়েছেন, ‘আমরা ধর্মের সমীকরণ নিয়ে রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি উন্নয়ন নিয়ে। মানুষের উন্নয়নের কাজ করতে পারবেন যিনি, এমন একজনকেই শান্তিপুরের প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের জয় একশো শতাংশ নিশ্চিত।’