নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের শ্যুট আউট। ভাটপাড়ার পর এবার জগদ্দলে(Jagaddal) এবং নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur) শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটল। দুই শ্যুট আউটের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কাজে যাওয়ার পথে জগদ্দলের শান্তিনিবাসপল্লীর বাসিন্দা এক যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রোহিত দাস। বয়স ১৯ বছর। অন্যদিকে নরেন্দ্রপুরের লস্করপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। শনিবার রাতে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডর গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তির নাম ভোলা দাস।
ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার জগদ্দলের ২৬ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন শান্তিনিবাস পল্লির বাসিন্দা রোহিত দাস। পরিবার সূত্রে খবর, জুটমিলে কাজ করতেন ওই যুবক। শনিবার রাতে কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন রোহিত। আর তারপরই গুলির আওয়াজ শুনতে পান পরিবারের লোকজন। ঘর থেকে পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই যুবক। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। রোহিতের পরিবারের দাবি, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিত শেষ মুহূর্তে জানিয়েছিলেন, করণ যাদব নামে এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ওই যুবককে লক্ষ্য করে কেন গুলি চালানো হল, তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জগদ্দল থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে নরেন্দ্রপুরের লস্করপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তির নাম ভোলা দাস। পুলিশের দাবি, ঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর ভাইপো। এর পর তড়িঘড়ি ভোলা দাসকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত ওই ব্যক্তির পায়ে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ভোলা দাসকে কেউ খুন করেছে নাকি তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে ভাটপাড়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় উঠে এলো নতুন তথ্য। সূত্রের খবর, নিহত ইমারতি ব্যবসায়ী সালামউদ্দিন আনসারি পুরসভায় কাজের জন্য ৪ লাখ টকার বেশি বরাত পেয়েছিলেন। তাঁকে খুন করার পিছনে পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার সালামউদ্দিন আনসারির ওপর প্রায় ১০-১২ জন মিলে হামলা চালায়। ৮ রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে থানায় ১১টি অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ফলে ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে তাঁকে খুন, নাকি পুরনো শত্রুতার কারণে হত্যা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।