নিজস্ব প্রতিনিধি: একই পরিবারের তিন ভাই, তিন দল। পাড়ার লোক তো বটেই, ধন্দে গোটা পরিবার। বাড়িতে একসঙ্গে থাকলেও মতাদর্শ আলাদা তিন ভাইয়ের। আর সেই নির্বাচন দেখতে মুখিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার আমজনতা। যদিও দুই ভাই ভোটে লড়লেও আর এক ভাই ভিন্ন দলে থেকে সংগঠনের কাজ দেখছেন। সঞ্জয় পাঠক, কানাইয়া পাঠক ও রাজীব পাঠক- তিন ভাই তিন দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী। শিলিগুড়ির শহর-রাজনীতির অন্যতম মুখ পাঠক পরিবারের তিন ভাই। আর তাদের এই অদ্ভূত লড়াইয়ে মজা দেখছেন শিলিগুড়ি পুরসভার আমজনতা।
পাঠক পরিবারের দুই ছেলেই ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন। সঞ্জয় তৃণমূলের আর কানাইয়া বিজেপি-র প্রার্থী। অপরদিকে রাজীব পাঠক দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি পুরসভার ভোট। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একই পরিবারের সন্তান হলেও তিন পাঠক ভাই বরাবরই আলাদা মতাদর্শে বিশ্বাসী। তিনজনে আলাদা ভাবেই দল করেন। সঞ্জয় পাঠক প্রথমে বিজেপি-তে ছিলেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কাউন্সিলার হন ২০০৯ সালে। পরে ফের দল বদলান সঞ্জয়। তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১৫ সালে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে লড়লেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়। অন্যদিকে, কানাইয়া পাঠক রাজনীতির প্রথম জীবনে কংগ্রেসে ছিলেন। ২০১৪ সালে বিজেপি-তে যোগ দেন। তারপর থেকে বিজেপির সঙ্গেই সম্পর্ক নিবিড় ছিল। তাই দলের তরফে ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে কানাইয়াকে। ২০১৫ সালে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছিল বিজেপির মালতি রায়কে। ভোটে জেতেন তিনি। তাই এবার প্রার্থী বদল করলেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। যদিও জয় নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় পাঠক।
তিনি জানিয়েছেন, ‘মূল লড়াই বিজেপি ও আরএসপি-র সঙ্গে। তাই এবার তৃণমূলের জয় হবে এই ওয়ার্ডে। বিগত বিজেপি কাউন্সিলারকে নিয়ে মানুষের প্রচুর অভিযোগও রয়েছে। তাঁরা আর একই ভুল করতে চান না।’ দুই ভাইকে গুরুত্ব নয় দলকেই এগিয়ে রেখেছেন কংগ্রেস নেতা ও অপর পাঠক ভাই রাজীব। তিনি জানিয়েছেন, ‘পারিবারিক সম্পর্কে তিন ভাই হলেও রাজনীতির ময়দানে প্রত্যেকের ভাবধারা ভিন্ন। আমার পছন্দের দল কংগ্রেস। বহুদিন ধরেই এই দলে আছি। আগামীতেও থাকব।’