নিজস্ব প্রতিনিধি: অতিবৃষ্টিতে (HEAVY RAIN) বিপর্যস্ত বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিষেবা (BAGDOGRA AIRPORT)। বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাতিল থাকবে বিমান (FLIGHT) পরিষেবা। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ১০ টি বিমানকে নামতে দেওয়া হয়নি বাগডোগরা বিমানবন্দরে। ওই ১০ টি উড়ানের অবতরণ হয়েছে অন্য বিমানবন্দরে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত নাকাল বিমানযাত্রীরা। কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে, তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে অনিশ্চয়তা।
মঙ্গলবার বৃষ্টি অত্যাধিক পরিমাণে হয়েছে বাগডোগরায়। সেই কারণে ১০ টি বিমানকে অবতরণ করানো হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। অন্যদিকে বাতিল করা হয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিষেবা। কবে আবহাওয়ার উন্নতি হবে, তা নিয়ে সন্দেহ যাত্রীদের মধ্যে। মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরে জারি রেড অ্যালার্ট। ততদিন পর্যন্ত পরিষেবা বাতিল থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ১৩ জোড়া বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জন্য কার্যত বন্যা পরিস্থিতি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর থেকে সেখানে বৃষ্টি কমবে। তবে বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন উত্তরের ৫টি জেলায় যে ভারী বৃষ্টি হবে তার জেরে এখন থেকেই সেচ দফতর রেড অ্যালার্ট জারি করে দিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টি হবে দুই দিনাজপুরেও। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই সময়কালে। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের সব নদীতে জলস্তর অনেকটাই বেশি রয়েছে৷ এই বৃষ্টিতে আবারও জলস্তর বৃদ্ধি পাবে। স্বাভাবিকভাবেই বন্যা এবং ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে। বিশেষ করে পাহাড়ে। মুষলধারে বৃষ্টি এবং একের পর এক ধসে বিধ্বস্ত অবস্থা পাহাড়ের। উত্তরবঙ্গের বহু জায়গার বানভাসী অবস্থা। বৃষ্টি না থামলে অচিরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তিস্তা পাড়ের এলাকাগুলিতে। সোমবার সকাল থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে টানা বৃষ্টি চলছে। মঙ্গলবার সকালে পাহাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও একাধিক জায়গায় ধসের আশঙ্কা করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে কালিঝোড়ায় ধসের খবর মিলেছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংগামী রাস্তা আটকে রয়েছে। দু’পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। তৈরি হয়েছে যানজট। শিলিগুড়িতেও চলছে টানা বৃষ্টি। জলমগ্ন একাধিক এলাকা। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে ৫১ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ২০৮ মিলিমিটার, ধূপগুড়িতে ১২৮.৮ মিলিমিটার, ফালাকাটায় ১৮৭.৮ মিলিমিটার, আলিপুরদুয়ারে ১৮৪.৬ মিলিমিটার এবং কোচবিহারে ২৩১.৫ মিলিমিটার।