নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: এবার ঘর ভাঙতে চলেছে হর্ষিনি, সোহেলের। ঝাড়গ্রামের জুলজিক্যাল পার্কের চিতাবাঘ হর্ষিনী, সোহেল(Sohel)। দুবারে তাদের মোট পাঁচটা সন্তান জন্ম নেয়।স্বাভাবিক ভাবেই জায়গা সংকুলান দেখা দিয়েছে। তাই এবার ঘর ভাঙতে চলেছে হর্ষিনি, সোহেলের।বেশ কয়েক বছর আগে খুনি হর্ষিনীকে ধরে উত্তরবঙ্গ(NorthBengal) থেকে আনা হয়েছিল ঝাড়গ্রামে(Jhargram)। সাজা ছিল যাবজ্জীবন বন্দী দশা।
যদিও তার মন ভালো করার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে আনা সঙ্গীকে তার সাথে থাকার ছাড়পত্র দিয়েছিল জুওলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। নাম সোহেল। দুজনের আলাপ পরিচয় এর প্রেম জমে ওঠে ধীরে ধীরে। ঘর বাঁধে দুজনে। এবার ঘর ভাঙার পালা। দুই ছেলে সুলতান আর সাহাজাদাকে নিয়ে বাবা সোহেল পাড়ি দিচ্ছে কুচবিহারের(Coochbehar) রসিকবিল- এ, নতুন ঠিকানায়। ঝাড়গ্রামে এবার সদ্য হওয়া তিন সন্তান কে নিয়ে থাকবে মা হর্ষিনী। আর এই পরিবার ভাঙায় মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত রেসকিউসেন্টারের কর্মী ও আধিকারিকরা। ভীষণ মনখারাপ তাদের। হর্ষিনী, সহেল ও তাদের ছানাপোনাকে দেখ ভাল করতেন সাহেব রাম মূর্মূ আর শম্ভু মূর্মূ।
তাদের বাচ্চাদের ও নিজেদের সন্তানের মত মানুষ করেছেন তারা। এবার তাদের চলে যাওয়ায় মন ভার। খালি হয়ে যাবে এনক্লোজার। এদের চলে যাওয়ার পাশাপাশি কিছুটা খুশি বলে জানান এই জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার অতুল প্রসদা দে। ছোট জায়গায় থাকতে সমস্যা হচ্ছে। তাই রসিক বিলে বড় এনক্লোজার পাবে সোহেল। এদের ফেয়ারওয়েল ও ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এখন এখন তাই স্বজন বিদায়ের বেদনা।