নিজস্ব প্রতিনিধি: খাবারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে একের পর এক পথ কুকুরকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল ধূপগুড়িতে। এই কাজ কি দুষ্কৃতীকারীদের? নাকি অন্য কিছু রয়েছে এর পেছনে তা নিয়ে পুলিশকে বিষদে তদন্ত করার অনুরোধ জানালেন বিধায়ক। কেননা এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে খোদ বিধায়কের বাড়ির সামনেই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। শুধু কুকুরই নয়, মারা পড়েছে বেশ কিছু পাখি। মনে করা হচ্ছে কেউ বা কারা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে খাবারে বিষ মিশিয়ে কুকুরদের কাহিয়েছিল যা খেয়ে তাঁরা মৃত্যুমুখে পতিত হয়। আবার সেই খাবার খেয়ে মারা পড়েছে কিছু পাখিও। এই ঘটনার জেরে পশুহত্যা নিয়ে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বেশ কিছু পশুপ্রেমী সংগঠন। তবে পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ধূপগুড়ির বিধায়ক বিষ্ণুপুদ রায়ের বাড়ি সংলগ্ন অরবিন্দপল্লী এলাকা থেকে কয়েকটি পথ কুকুর ও বেশকিছু পাখির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলাকার মানুষজন প্রথমে একটি কুকুরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে আরও তিনটি কুকুর এবং প্রচুর পরিমানে পাখির মৃতদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ির পশুপ্রেমী সংগঠন অ্যানিমেল লার্ভাস। তাঁরা অসুস্থ কুকুরগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত কুকুর ও পাখির মৃতদেহ দেহগুলিকেও নিয়ে যায়। খবর যায় পুলিশের কাছেও। সম্প্রতি ধূপগুড়িতে দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বেড়েছে। এই কাজ তারা করেছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এদিনের ঘটনার জেরে বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় জানান, ‘আমাদের পাড়াতে ২০ থেকে ২৫টি কুকুরের দল আছে যারা রাতে এলাকা পাহারা দেয়। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা খাবারের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে কুংগুলোকে খাইয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছে। সেই খাবার পাখিরাও খেয়েছে। ফলে তারাও মারা গেছে। আমি পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।’ অন্যদিকে পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে অনিকেত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অবলা প্রাণীদের রাতের অন্ধকারে খাবারের সঙ্গে কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছে কেউ বা কারা। তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে।’