নিজস্ব প্রতিনিধি ,গঙ্গারামপুর: দশমীতে জলপাইগুড়িতে মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনে দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন দুর্গাপুজো মণ্ডপের দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন নদীর ঘাটে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়। নিরঞ্জনে সতর্ক প্রশাসন, শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ ডিজে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সদর শহর বালুরঘাট গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরের যথাক্রমে তিন নদী আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীরে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য এ বছর চ্যানেলের মাধ্যমে দেবী নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে প্রতিটি নদীর(River) ঘাটে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । লাইফ বোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। এ বছর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল কোন রকম ডিজে বা সাউন্ড(Sound) সিস্টেম বাজানো যাবে না । সে কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা তাদের দেবী দুর্গা বিসর্জনের সময় ঢাকের তালেই প্রতিমা নিরঞ্জন দিতে নদী ঘাট গুলিতে উপস্থিত হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে এই চিত্র দেখা গেল। জেলা প্রশাসন ও গঙ্গারামপুর পৌরসভার(Gangarampur Municiality) তরফে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
পাশাপাশি গঙ্গারামপুরের(Gangarampur) পুনর্ভাবা নদীর তীরে বিসর্জনের যে ঘাটের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল পৌরসভা ও গঙ্গারামপুর পুলিশ প্রশাসনের তরফে সেখানে উপস্থিত ছিলেন গঙ্গারাম পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ভাইস চেয়ারম্যান(Chairman) জয়ন্ত কুমার দাস সহ আরও অন্যান্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গঙ্গারামপুর মহকুমার এসডিপিও(SDPO) দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য সহ পুলিশ আধিকারিকরা। দশমী থেকেই দেবী দুর্গার বিসর্জন নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ঘাট গুলিতে কোনোও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ রয়েছে। কোন নদীর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বাড়তি লোকজনদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।