নিজস্ব প্রতিনিধি,দমদম:আবারো দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৮) মধ্যবয়সী ওই মহিলা বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে উল্টোডাঙ্গার একটু বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । রিপোর্ট ডেঙ্গু পজেটিভ আসে। গতকাল তার মৃত্যু হয়। দক্ষিণ দমদম পৌরসভা(South Dum Dum Municipality) ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙুর শ্যামাপ্রসাদ কলোনির বাসিন্দা । এই নিয়ে দক্ষিণ দমদম পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৮ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ এর কাছাকাছি। অন্যদিকে,আবারো ডেঙ্গুতে মৃত্যু।
এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু হল ঠাকুরপুকুরের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ড- র ২ নম্বর বাছার পাড়ার পরেশ সাউয়ের।গত শুক্রবার হসপিটালে ভর্তি হন তিনি।ব্লাড টেস্ট করলে ডেঙ্গু পজেটিভ হয়। সোমবার সন্ধ্যেবেলায় তার মৃত্যু হয়। এলাকার মানুষের বক্তব্য এখানকার কাউন্সিলর কোন কাজ করে না এবং এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা কিছু নেই। এক কথায় বলা যায় মশার আঁতুঘর হয়ে রয়েছে দু নম্বর বাঁচার পাড়া। স্থানীয় মানুষজনের বক্তব্য, কোনো নিকাশি ব্যবস্থা নেই।তার জন্য বর্ষার জল সমস্ত জায়গায় জমে রয়েছে। এমনকি এ রাস্তার নিজেদেরকে রাবিশ ফেলতে হচ্ছে কর্পোরেশন থেকে কোন কাজ করছে না বলে অভিযোগ। কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim) দাবি করেছেন পুরসভার কর্মীরা ডেঙ্গু দমনে প্রতিটি ওয়ার্ডে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সচেতনতা।
এদিকে এলাকায় ডেঙ্গুর আতঙ্ক রয়েছে । বেশ কিছু পরিবারের মানুষজন জ্বরে আক্রান্ত। মাস দুয়েক আগে আরও একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ওই এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে, ডেঙ্গু সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মালদায়। মঙ্গলবার দুপুরে ডেঙ্গু রোধে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি। ডেঙ্গু নিয়ে ব্লকের স্বাস্থ্য কর্তাদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি,জেলাতে প্রায় ১৩০০রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রয়েছেন। গত,তিন সপ্তাহে সব চেয়ে বেশি রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাই রক্ত পরীক্ষায় বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্মী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিন ডেঙ্গু নিয়ে মালদা মেডিক্যাল ও ব্লকের স্বাস্থ্য কর্তাদের আরও বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা।