নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) কলকাতার রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যারা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) কাজ করেও মজুরি পাননি তাঁদের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের তরফেই মজুরি(Wages) প্রদান করা হবে। গতকাল যে রাজ্য বাজেট পেশ করা হয়েছে সেখানে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই খাতে। সেই টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে একদম নিচু স্তর থেকে ওপরতলা পর্যন্ত কী ভাবে এবং কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিবের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই কার্যত নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কীভাবে সেই কাজ করতে হবে এবং কী কী মেনে চলতে হবে। রাজ্যজুড়ে সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তার মধ্যেই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ডায়মন্ডহারবার(Daimond Harbour) লোকসভা কেন্দ্রের এলাকাকে। কেননা এই এলাকা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) সংসদীয় কেন্দ্র।
গত বুধবার থেকে ১০০ দিনের কাজ করেও প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর বিষয়ে বিডিও এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন সব জেলার জেলাশাসকেরা। গতকাল থেকে তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে প্রাপকদের খসড়া তালিকা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই খসড়া তালিকা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য খতিয়ে দেখবেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন বিডিওরা। ১৯ তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ওই ২১ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে ওই টাকা। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাড়তি নজর থেকছে ডায়মন্ডহারবারের দিকে। সেখানে থাকছে আবার বিশেষ আয়োজন। তবে তা সরকারের তরফে নয়, দলের তরফে। একান্তভাবেই অভিষেকের নিজস্ব সংগঠনের তরফে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১০ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রজুড়ে নানা জায়গায়। সেই সব শিবিরে ১০০ দিনের কাজের মজুরি প্রাপকদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেই তথ্যই তুলে দেওয়া হবে রাজ্য প্রশানের হাতে। প্রশাসন মিলিয়ে দেখবে যে তথ্য দলের তরফে জমা দেওয়া হয়েছে সেই তথ্যের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছে থাকা তথ্য ঠিক মতন মিলছে কিনা। গোটা প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই দুই পর্যায়ের খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে অভিষেক নিজ উদ্যোগে তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের বয়স্ক মানুষদের বার্ধক্য ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও নিজস্ব সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে কয়েক হাজার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছিলেন। এবার সেই একই সংগঠনকে মাঠে নামিয়ে যতটা সম্ভব নির্ভুল ভাবে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মজুরি প্রাপকদের তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।