নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন বিমা সংস্থা কিস্তির আবেদন বাড়াতে বলে চাপ দিচ্ছে রাজ্য সরকারকে। বলা হচ্ছে, চুক্তি নবীকরণ করে বাড়ানো হোক কিস্তির অঙ্কের পরিমাণ। বিমা সংস্থার যুক্তি, ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জন্য বাড়ছে উপভোক্তার সংখ্যা। এছাড়াও বিমা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালগুলির টাকা দেরি করে মেটানো হয়। তবে বিমা সংস্থার নয়া আবেদনের পর রাজ্যের সিদ্ধান্ত, আর বিমা সংস্থার মাধ্যমে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (SWASTHYA SATHI) নয়। এবার থেকে রাজ্য এই প্রকল্পে সরাসরি টাকা পাঠাবে হাসপাতালগুলিকে। এতে বিপুল অঙ্কের টাকা বিমা সংস্থার পেছনে খরচা করতে হবে না রাজ্যকে।
রাজ্যের নয়া সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা লোপ করা হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। এবার থেকে হাসপাতালগুলিকে সরাসরি টাকা দেবে সরকার। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালের টাকা আর বেশি দিন বাকি থাকবে না। জানা গিয়েছে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তার মানে এবার থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চলবে অ্যাসিওরেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে।
জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে মেডিসিন জেনারেল বেডে দিনে ১৮০০ টাকা, অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশনে ১৫ হাজার টাকা, আইসিইউয়ের জন্য দিনে ৩ হাজার ৩০০ টাকা, ল্যাপকলি অপারেশনের জন্য প্রায় ১৯ হাজার ২০০ টাকা এবং ইউটেরাস অপারেশনের জন্য ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালকে। উল্লেখ্য, অ্যাসিওরেন্স ব্যবস্থায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ পরিবারের জন্য সরকারের খরচ হয় বছরে ১৮০০ কোটি টাকা। ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থায় বছরে ৭০ লক্ষ পরিবারের জন্য সরকারের খরচ হয় ৬০০ কোটি টাকা। এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা প্রতি উপভোক্তা পাবেন অ্যাসিওরেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমেই। এর ফলে অকারণে বিমা সংস্থার পেছনে কিস্তির ব্যাপক টাকা সরকারকে খরচ করতে হবে না। সরকার বিমা সংস্থাকে বাদ দিয়ে সরাসরি বেসরকারি হাসপাতালের টাকা মেটালে বেসরকারি হাসপাতালগুলি আগের চেয়ে তাদের প্রাপ্য টাকা পাবে দ্রুত। উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত বা রোগীকে ফেরানো যাবে না। অভিযোগ এলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে তৈরি করা হয়েছে একাধিক নজরদারি কমিটি।