নিজস্ব প্রতিনিধি: কয়েক হাজারেরও বেশি প্রধান শিক্ষক (HM) নিয়োগ করবে রাজ্য। ইতিমধ্যেই সেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেই তালিকা প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দিয়েছে এসএসসি (SSC) দফতরে। শূণ্যপদ নেহাত কম নয়। আর এই প্রস্তাবেই উৎফুল্ল প্রধান শিক্ষক পদপ্রার্থীরা।
ঘোষণা করা হয়েছে শূণ্যপদ প্রায় ২২০০। এদিকে সম্প্রতি বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর বক্তব্য পেশ করার সময় জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ৫৮০০-রও বেশি প্রধান শিক্ষকের পদ খালি আছে। আর তা জেনে আরও উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন পদপ্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, রাজ্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে এসএসসিতে চাকরি প্রাপক ভুয়োদের বাদ দেওয়ার। কড়া নির্দেশ, যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত চাকরি দেওয়ার। আর তারপরেই রাজ্যের আরও এক প্রশংসাযোগ্য সিদ্ধান্ত। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শুরু করেই প্রায় কয়েক হাজার যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার বিদ্যালয় স্তরে একাধিক উল্লেখযোগ্য প্রকল্প চালায়। শিক্ষার মান, পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও শিক্ষার্থী কল্যাণে সেই প্রকল্পগুলি পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সেই দায়িত্বে থাকেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থা অস্থায়ী। চলছে এসএসসি নিয়গে একাধিক মামলা। এমনিতেই রাজ্যে শিক্ষকের অভাব। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে প্রকল্প পরিচালনার কাজে নিয়োজিত করলে পঠন-পাঠনে প্রভাব পড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে মাত্রাতিরিক্ত চাপ। রাজ্য সরকার সবদিক মাথায় রেখেই তাই প্রধান শিক্ষক সহ সবকটি নিয়োগ দ্রুত সেরে ফেলতে চায়। মজবুত করতে চায় রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামো।
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্কুলগুলিতে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি। স্বভাবিকভাবেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরে শিক্ষক পদ খালি হবে আরও। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সমাপ্ত হয়েছিল ২০১৯ সালে।