নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশের পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) পঠনপাঠন শুরু হলেও এখনও সেখানকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষ করে হোস্টেল খোলার যে মূল দাবি নিয়ে সেখানে পড়ুয়ারা আন্দোলন(Student Agitation) শুরু করেছে সেই হোস্টেল কবে খোলা হবে তা নিয়ে কোনও সাড়া শব্দই করছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা এই নিয়ে বার বার দাবি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক ও জানাক কবে হোস্টেল খোলা হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনাতেই বসতে চাইছে না। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই আলোচনা না বসার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য(VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(Bidyut Chakrabarty)। এর জেরে শনিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা আশ্রম চত্বরে মিছিল করেন। সেই মিছিলেই বেশ কয়েক জনের টি-শার্টে উপাচার্যের উদ্দেশে কটাক্ষপূর্ণ শ্লোগান লেখা ছিল যার অন্যতম হলে, ‘বিদ্যুতের বাড়লে তেজ, কমিয়ে দাও ভোল্টেজ’।
তবে পড়ুয়াদের এই আন্দোলন আর তাতে আদালত কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানানোর পরে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কেননা রাজ্যজুড়ে সব স্কুল-কলেজ খুলে গিয়েছে, হোস্টেল খুলে গিয়েছে, অথচ বিশ্বভারতীতে কোনও হোস্টেল এখনও খোলা হয়নি। আর তার জেরেই এই আন্দোলন এখন দিন দিন অক্সিজেন পেয়ে চলেছে রাজ্যের নানান মহল থেকে। যদিও সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রেজিস্ট্রারের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে যারা ওই হোস্টেল খোলার বিষয়টি দেখবেন। সেই কমিটি হস্টেলের অবস্থা পরিদর্শন করে, তার মধ্যে থেকে ব্যবহারযোগ্যগুলি খুলে দেওয়ার সুপারিশ করবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই কমিটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের কিছুই জানাচ্ছে না। কবে পরিদর্শনে যাবে ওই কমিটি, কবেই বা হস্টেল খোলা হবে, কিছু জানানো হয়নি তাঁদের। আর তাই তাঁরাও আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাবেন।