নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজ কিংবা রাত- বিরেতে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আসতে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হতো। ঝাড়খন্ড রাজ্যের মানুষজন থেকে শুরু করে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনকে এবং ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর(Gopiballavpur) ১ নম্বর ব্লকের জানাঘাটি, মদনশোল সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষকে নদী পথে নৌকা করে না হলে প্রায় ৪০ – ৫০ কিলোমিটার রাস্তা বেয়ে আসতে হত।সাধারণ মানুষকে গোপীবল্লভপুর বাজারের (Gopiballavpur Market)বুকে পৌঁছাতে হয় নানান প্রয়োজনীয় কাজে।
এলাকার এই সমস্যার কথা ভেবে ঝাড়গ্রামের(Jhargram) গোপীবল্লভপুরের আসনবনী গ্ৰামের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে সুবর্ণরেখা নদীর ওপর গড়ে তুললেন আস্ত একটি ফেয়ারওয়েদার ব্রীজ। গ্রাম বাসিন্দাদের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি কাঠের সেতুর উপর শুরু হয়েছে যাতায়াত। স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র ৮ – ১০ কিলোমিটার এর মধ্যে এসে যাওয়ায় খুশি। গোপীবল্লভপুরের আসনবনী, জানাঘাটি, করাতনালা, মদনশোল গ্রামের বাসিন্দার। উল্লেখ্য, ঝাড়খন্ড রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে নিত্য দিনের প্রয়োজনে গোপীবল্লভপুর বাজারে আসতে হয়।কারণ গোপীবল্লভপুর বাজারের বুকে রয়েছে সুবর্ণরেখা মহাবিদ্যালয়, রয়েছে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অপরদিকে নদীর তীরে রয়েছে পর্যটকদের বড় আকর্ষণের জায়গা বাংলা ঝাড়খন্ড(Jharkhand) রাজ্যের সীমান্তে থাকা চিত্রেশ্বর শিব মন্দির।
তবে নদীর কারণে যোগাযোগের সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই এই শীতের শুখা মরসুমে যোগাযোগের সমস্যা নিরসনে ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের আসনবনী ঘাটে ফেয়ারওয়েদার ব্রীজ। ব্রীজ গিয়ে পৌঁছেছে জানাঘাটি ঘাটে। আসনবনী গ্ৰামের বাসিন্দারা জানান ব্রিজ হতে একদিকে যেমন যোগাযোগের সুবিধা বাড়লো তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হল।পাশপাশি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, এখানে মানুষজনের অনেক অসুবিধা হচ্ছিল তাই ওখানকার গ্রামবাসীরা নিজের উদ্যোগে এই সেতুটি তৈরি করায় উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।