নিজস্ব প্রতিনিধি: আদি-নব্য দ্বন্দ্বে পুড়ছে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। এবার প্রকাশ্যে চলে এল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Majumdar) সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) বিরোধ, মতভেদ ও দূরত্বও। সুকান্ত এদিন মেনেই নিয়েছেন দলবদলুদের দলে নিয়ে আসা ভুল ছিল। কার্যত এই কথাটাই এতদিন ধরে বলে আসছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। এবার সেই সুরই শোনা গেল সুকান্তের গলায়। তাঁর এই দাবিই বলে দিচ্ছে, শুভেন্দুর সঙ্গে ঠিক কতটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে সুকান্তদের। বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নিয়েছে দলবদলুরা। আর আত সম্ভব হয়েছে শুভেন্দুর জন্যই। কার্যত এই অভিযোগ বার বার করে আসছেন বঙ্গ বিজেপির আদি নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে সুকান্তের স্বীকারোক্তি বঙ্গ বিজেপিতে শোরগোল ফেলে দিল।
একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করার জন্যযেভাবে দরজা যেভাবে খুলে দেওয়া হয়েছিল, তার তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা সেই প্রতিবাদ ও বিরোধিতাকে আমল দিতে চাননি। কিন্তু একুশের ভোটের পর বাংলার বুকে দলের থেকে একের পর এক সাংসদ, বিধায়কদের তৃণমূলে যোগ এবং নিত্যদিন দলের আদি নেতাকর্মীদের বসে যাওয়া বা দল ছাড়া গোটা ছবিটাই বদলে দিয়েছে। সঙ্ঘের তরফেও বলে দেওয়া হয় বিজেপিকে যে এভাবে দরজা খোলা ঠিক হয়নি। এবার সেটাই মেনে নিলেন সুকান্ত। দলবদলুদের জন্য দলের দরজা খোলায় আখেরে যে দলেরই ক্ষতি হয়েছে তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন সুকান্ত। কোনও বাছবিচার না করে অন্য দল থেকে আসাদের যেভাবে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল বিজেপিতে, সেটা যে বুমেরাং হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করলেন দলেরই রাজ্য সভাপতি।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্তর জানান, ‘একুশে তৃণমূলের(TMC) দাগিদের নিয়ে আমাদের হাত পুড়েছে। আমরা ঠেকে শিখেছি।’ তাঁর এই মন্তব্য যে দলের আদি-নব্য দ্বন্দ্বের মধ্যে শুভেন্দুর দিকেই ইঙ্গিত তা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি নতুনদের হাতে যাতে দলের রাশ না চলে যায় সেটা নিয়েই এই বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপরও একটা চাপ তৈরি করে রাখলেন সুকান্তরা। এসবের মধ্যেই আবার সেভ বেঙ্গল বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হল, ‘অমিত মালব্য আর অমিতাভ চক্রবর্তীর বিদায় না হলে আগামিদিনে বাংলার বিজেপি আরও ভাঙবে, বিক্ষোভ আরও বাড়বে, তথাগত রায় এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বি এল সন্তোষ আপনি দয়া করে সাধারণ বিজেপি কর্মীদের কথা শুনুন। আপনাকে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বুথ অনেক দূর, ৬০ ভাগ মণ্ডল গঠন হয়নি।’