নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচ পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি। সেই মামলাতেই রক্ষাকবচ দিলনা বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হলে গ্রেফতারির আশঙ্কা কোথায়? প্রয়োজনে আগামী শুক্রবার শুনানির পর রক্ষাকবচ দেওয়া হবে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট-এর ডিজিটাইজড ডেটায় ভুল রয়েছে বলে প্রশ্ন ওঠে। ডিজিটাইজ়ড ডেটা হিসেবে ওএমআর শিটের টাইপ করা তথ্য পর্ষদ আদালতে পেশ করেছে। তথ্যে প্রশ্ন-উত্তরের অনেক বিকল্পেও ভুল রয়েছে বলে জানান মামলাকারীর আইনজীবী। অভিযুক্তদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করার দরকার ছিল বলে সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে তলব করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের বর্তমান সভাপতি-সহ অন্য আধিকারিকেরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকে ‘ডিজিটাইজ়ড কপি’ বলে দাবি করেছেন। তাই পর্ষদ সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রয়োজনে সিবিআই মনে করলে পর্ষদের যে কোনও আধিকারিককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। আর এই নির্দেশের পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পর্ষদ সভাপতি।